এবার হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরি করল ঢাকা কলেজ

ক্যাম্পাস প্রতিবেদক
ক্যাম্পাস প্রতিবেদক ক্যাম্পাস প্রতিবেদক ঢাকা কলেজ
প্রকাশিত: ০৯:২৪ এএম, ২৩ মার্চ ২০২০

বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া মরণঘাতী ভাইরাস করোনার ভয়াল প্রাদুর্ভাব থেকে বাঁচতে জীবাণুমুক্ত থাকতে বিনামূল্যে বিতরণের জন্য হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরি করেছে ঢাকা কলেজের রসায়ন বিভাগ।

রোববার (২২ মার্চ) রসায়ন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক লায়লা মুস্তারীনের নেতৃত্বে বিভাগের পরীক্ষাগারে নিজস্ব অর্থায়নে হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরির প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। স্যানিটাইজার তৈরির প্রাথমিক পর্যায়ে গতকালই পরীক্ষামূলকভাবে সেগুলো বোতলজাত করা হয়।

আজ কমপক্ষে ৫০০ বোতল হ্যান্ড স্যানিটাইজার বোতলজাত করা হবে যা কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং আশেপাশের সাধারণ মানুষের মাঝে বিনামূল্যে বিতরণ করা হবে।

হ্যান্ড স্যানিটাইজার প্রস্তুতকারী দলের সদস্য রসায়ন বিভাগের প্রভাষক আসলাম হুসাইন বলেন, চলমান সংকটময় মুহূর্তে দায়িত্বের জায়গা থেকে রসায়ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক লায়লা মুস্তারীনের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের একটি দলের দীর্ঘ প্রচেষ্টায় জীবাণুনাশক হ্যান্ড স্যানিটাইজার প্রস্তুত করতে কাজ করি।

Handsenitiger

স্যানিটাইজার প্রস্তুতকারী দলের অন্যান্য সদস্যরা হলেন- বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক বি এম মুহিবুর রহমান, সহযোগী অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, সহযোগী অধ্যাপক শাহীন আফরোজ, সহকারী অধ্যাপক মো. আব্দুল হামিদ, সহকারী অধ্যাপক ড. নাজমুল কবীর চৌধুরী, সহকারী অধ্যাপক নকুল চন্দ্র পাল, প্রভাষক আসলাম হোসেন, প্রভাষক মাহমুদুল হাসান এবং প্রভাষক ত্রিনাথ সিংহ। এছাড়াও বিভাগের অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারী, কলেজ প্রশাসন এবং কিছু শিক্ষার্থী সার্বিক সহায়তা করেন বলেও জানান তিনি।

অধ্যাপক লায়লা মুস্তারীন বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে হ্যান্ড স্যানিটাইজার উৎপাদন করা আমাদের দায়িত্বের একটি অংশ। আমরা আপাতত স্বল্প পরিসরে এটা করেছি। কলেজ বন্ধ থাকায় যেহেতু শিক্ষার্থীরা নেই তাই আপাতত শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং আশেপাশের সাধারণ মানুষদের মাঝে বিনামূল্যে এগুলো বিতরণ করা হবে।

এ বিষয়ে ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক নেহাল আহমেদ বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে হ্যান্ড স্যানিটাইজার উৎপাদন খুবই ভালো একটি উদ্যোগ। আমরা এ ধরনের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। এ ধরনের কর্মকাণ্ডে কলেজ প্রশাসন থেকে সর্বাত্মক সহায়তা করতে সর্বদা প্রস্তুত। আমি আশা করছি ধীরে ধীরে এর উৎপাদন এবং ব্যাপ্তি বৃদ্ধি করা হবে। এ জন্য প্রশাসন থেকে প্রয়োজনীয় আর্থিক সহায়তা অব্যাহত থাকবে।

এই উদ্যোগ সাধারণ মানুষের উপকারে আসবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

বিএ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।