করোনার কারণে বন্ধ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১২:১১ পিএম, ১৬ মার্চ ২০২০
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে শিক্ষার্থীদের সুরক্ষিত রাখতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) একাডেমিক কার্যক্রম সাময়িক বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। ১৮ মার্চ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত বলবৎ থাকবে।
সোমবার (১৬ মার্চ) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আব্দুল মতিন ভার্চুয়াল কক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নিয়ে একটি জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
সভা শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, করোনাভাইরাস একটি গ্লোবাল ইস্যু। আমাদের দেশেও এটি ছড়িয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ও এর বাইরে নয়। এছাড়া শিক্ষক সমিতি, ডাকসু ও শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এরকম একটি বিষয়ে আলোচনা করি। তারপর আমরা একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধের সিদ্ধান্ত নেই।
তিনি বলেন, আমাদের সকল কার্যক্রম চালু থাকবে। শুধু সোশ্যাল ডিস্টেন্স কমানোর জন্য একাডেমিক কার্যক্রম ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তবে হল বন্ধ হবে না। এসময়ের ক্লাস পরীক্ষাগুলোর জন্য নতুন রুটিন তৈরি করতে একাডেমিক কাউন্সিলকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তারা দ্রুত সময়ের মধ্যে নতুন রুটিন তৈরি করবেন।
তবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কোনো নির্দেশনা এলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছুটি আরও বাড়ানো হবে বলেও জানান উপাচার্য।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এ সিদ্ধান্তের পরপরই জানা যায়, মঙ্গলবার থেকে (১৭ মার্চ) থেকে সারাদেশের স্কুল-কলেজ, মাদরাসাসহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।
চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে বৈশ্বিক মহামারিতে রূপ নেয়া করোনাভাইরাস বাংলাদেশে শনাক্ত হয়েছে গত ৮ মার্চ। সেদিন তিন জন করোনায় আক্রান্ত হওয়ার তথ্য জানায় সরকারের আইইডিসিআর। পরে আরও দুজন করোনায় আক্রান্ত হওয়ার কথা জানায় সরকার। এদের মধ্যে তিনজন সুস্থ হয়ে উঠেছেন, যাদের দুজন বাড়ি ফিরে গেছেন।
এদিকে বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ছেই। এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৬৯ হাজার ৫৫২ জন এই প্রাণঘাতী ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। ৬ হাজার ৫১৬ জনের প্রাণ কেড়েছে করোনা। এছাড়া ৭৭ হাজার ৭৫৩ জন চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে।
এখন পর্যন্ত ১৫৭টি দেশ ও অঞ্চলে করোনার প্রকোপ ছড়িয়ে পড়েছে। শুধুমাত্র চীনেই এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৮০ হাজার ৮৬০ এবং সেখানে মারা গেছেন ৩ হাজার ২১৩ জন।
এইচএ/এমকেএইচ