করোনা : হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরি করল ঢাবির ফার্মেসি অনুষদ
নিজস্ব ল্যাবে হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরি করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বায়োমেডিকেল রিসার্চ সেন্টার ও ফার্মেসি অনুষদ। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষার জন্য তারা এটি তৈরি করেছে।
গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হওয়ার পর বাজারে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের সংকট দেখা দেয়। এরপর নিজস্ব ল্যাবে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও হেক্সিসল তৈরির উদ্যোগ নেয় এ অনুষদের শিক্ষকরা। বিভাগের নিজস্ব অর্থায়নে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা তাদের নিজস্ব ল্যাবে হ্যান্ড স্যানিটাইজার বানানো শুরু করে। গত ১১ মার্চ তা বানানো সম্পন্ন হয়।
পর্যাপ্ত অর্থায়ন ও ল্যাবের সীমাবদ্ধতার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরের কাউকে এই হ্যান্ড স্যানিটাইজারের সুবিধা দেয়া যাচ্ছে না। তবে কেউ অর্থায়ন ও ল্যাবের সুবিধা দিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা তাদেরকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন।
হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন ক্লিনিক্যাল ফার্মেসি ও ফার্মাকোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মুহিত।
জানতে চাইলে তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘বাংলাদেশে করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর যখন শুনি বাজার থেকে এসব পণ্য স্টক আউট হয়ে গেছে, তখন অন্তত নিজের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যেন সুরক্ষিত থাকে সে জন্য নিজেদের দায়বদ্ধতা থেকে আমরা এটি প্রস্তুত করেছি। প্রথমদিন আমরা ২০০ বোতল তৈরি করেছি। যার জন্য খরচ হয়েছে ২০ হাজার টাকা। নিজেদের সাধ্যমতো ও ফান্ড পেলে এটি আরও বেশি প্রস্তুত করে শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে বিতরণ করা হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার জন্য শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য এটি বানানোর উদ্যোগ নেই। কেউ যদি দেশের স্বার্থে এটি বানাতে চায়, তাহলে আমরা তাদেরকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করব।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ‘করোনা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আমরা সতর্ক ও সচেতন থাকতে বলছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমরা যা যা করা দরকার তা করার চেষ্টা করছি। জীবাণুনাশকটি তৈরি অবশ্যই ভালো উদ্যোগ।’ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সবসময় সহযোগিতা করবে বলে তিনি জানান।
এফআর