রাবিতে ছাত্রলীগের ২ নেতাকর্মীকে গণপিটুনি
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ছিনতাইকালে ছাত্রলীগ নেতাসহ দুজনকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে শিক্ষার্থীরা। বুধবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ছিনতাইকারীদের মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেন।
গণপিটুনির শিকার জনি আহমেদ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক ও ইনফরমেশন সায়েন্স অ্যান্ড লাইব্রেরি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী। তার সহযোগী রাজন ইসলাম (২৫) নগরীর কোর্ট বুলনপুর এলাকার শফিকুল ইসলামের ছেলে ও ছাত্রলীগ কর্মী।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা জানান, কেল ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনের বারান্দায় বসে জেনেটিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দুই শিক্ষার্থী আড্ডা দিচ্ছিলেন। এ সময় মোটরসাইকেলে ছাত্রলীগ নেতা জনি ও কর্মী রাজন এসেই তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন।
জনি নিজেকে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি পরিচয় দিয়ে আশপাশে থাকা অন্য শিক্ষার্থীদের সরে যেতে বলেন। এক পর্যায়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে ওই দুই শিক্ষার্থীর কাছে থাকা দুই হাজার ৭০০ টাকা ও দু’টি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেন তারা। এ সময় এক শিক্ষার্থী সাহায্যের জন্য চিৎকার দিলে সিনেট ভবনের পাশে অবস্থিত সাবাস বাংলাদেশের মাঠে থাকা অন্য শিক্ষার্থীরা এসে তাদের আটক করেন।
এ সময় উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের গণপিটুনি দেন। একপর্যায়ে তাদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেন শিক্ষার্থীরা। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে আসার আগেই মোটরসাইকেলটি পুড়ে যায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে শিক্ষার্থীরা ওই দুই ছাত্রলীগ নেতাকর্মীকে পুলিশে সোপর্দ করেন।
এ ব্যাপারে রাবি ছাত্রলীগ সভাপতি মিজানুর রহমান রানা বলেন, ‘অভিযুক্ত জনিকে ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়েছে।’
এ ব্যাপারে মতিহার থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ূন কবীর জানান, ছাত্রলীগ নেতা জনি ও তার সহযোগী রাজনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি।
এ বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক তারিকুল হাসানকে বারবার ফোন করা হলেও তিনি তা রিসিভ করেনি।
রাশেদ রিন্টু/এআরএ/পিআর