কুবিতে হলের ভেতর সাংবাদিককে পেটাল ছাত্রলীগ নেতারা
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) শাখা ছাত্রলীগের কতিপয় নেতাকর্মীর হাতে হলের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত এক সাংবাদিক মারধরের শিকার হয়েছেন। শনিবার দিবাগত রাতে শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলে এ ঘটনা ঘটেছে।
মারধরের শিকার বণিক সজিব দৈনিক বিজনেস বাংলাদেশ পত্রিকায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত।
মারধরের অভিযোগ উঠা ছাত্রলীগ সদস্যরা হলেন, দত্ত হল ছাত্রলীগের যুগ্ম-সম্পাদক মিরাজ খলিফা, যুগ্ম-সম্পাদক ইমতিয়াজ শাহরিয়া, ছাত্রলীগ কর্মী রাজু আহমেদসহ আরও বেশ কয়েকজন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার রাতে হলের ২০৪ নম্বার রুমে সিট নিয়ে সজীব বণিক ও ছাত্রলীগকর্মী রাজু আহমেদের বাকবিতণ্ডা হয়। দুজনের মাঝে দ্বন্দ্ব বেধে যাবার এক পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সদস্য ও হল ছাত্রলীগের যুগ্ম-সম্পাদক মিরাজ খলিফা, হলের যুগ্ম-সম্পাদক ইমতিয়াজ শাহরিয়া, ছাত্রলীগ নেতা রাজু আহমেদসহ বেশ কয়েকজন ছাত্রলীগ নেতা সাংবাদিক সজীবকে মারধর করেন।
ভুক্তভোগী সজীব বণিক বলেন, মারধর করার সময় আমাকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করেন ছাত্রলীগ নেতারা। এছাড়া আগামীতে আমাকে দেখে নেবেন বলেও হুমকি দেন তারা। আমি হুমকির ঘটনায় আতঙ্কিত।
এদিকে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতাদের একজন মিরাজ খলিফা অভিযোগের ব্যাপারটি অস্বীকার করে বলেন, 'আমরা আওয়াজ শুনে সেখানে যাই। তবে কারও গায়ে হাত তুলিনি। সাংবাদিক সজীবই প্রথম রাজুর গায়ে হাত তুলেছে। আমরা দু'পক্ষকে নিবৃত করার চেষ্টা করেছি। অভিযুক্ত বাকি ছাত্রলীগ সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে কুবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজ বলেন, আমি ক্যাম্পাসে নেই। দু'পক্ষের কথাই শুনেছি। ক্যাম্পাসে এসে তদন্ত করবো। ছাত্রলীগের কেউ কারও গায়ে হাত তুলে থাকলে তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ঘটনার বিষয়ে হলের প্রাধ্যক্ষ ড. মো. জুলহাস মিয়া জানান, আমি ঘটনার বিষয়ে জেনেছি। কারও গায়ে হাত তোলার অধিকার কোনও শিক্ষার্থীর নেই। ছাত্র প্রতিনিধিদের সঙ্গে বসে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন বলেন, বিষয়টি আবাসিক হলের। হল প্রাধ্যক্ষের সঙ্গে আমি আলাপ করছি। আমরা এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেব।
এমএএস/জেআইএম