সনজিত-সাদ্দামকে গ্রেফতার না করলে আন্দোলনের হুমকি
ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নুরসহ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস এবং সাধারণ সম্পাদক ও ডাকসুর এজিএস সাদ্দাম হোসেনকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। অন্যথায় কঠোর আন্দোলনের হুমকি দিয়েছেন তারা।
বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগের বাইরে এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান এ দাবি জানান।
গত রোববার দুপুরে ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নুর ও তার অনুসারীদের ওপর হামলা চালায় মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের একাংশের নেতাকর্মীরা। তবে হামলায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরাও অংশ নেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ওই হামলায় নুরসহ অন্তত ৩৪ জন আহত হন। হামলায় আহত ভিপি নুরসহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে মোট ৮ জন ভর্তি রয়েছেন।
সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান বলেন, ছাত্রলীগের সনজিত ও সাদ্দামের নেতৃত্বেই ডাকসুর ভিপি নুর ও তার সহযোদ্ধাদের ওপর হামলা হয়েছে। তাই তাদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা না হলে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
রাশেদ আরও বলেন, ঢামেকে চিকিৎসাধীন জুয়েল, সোহেল, ফারাবীসহ অনেকেরই শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। অথচ চিকিৎসক ও ঢাকা মেডিকেলের পরিচালক সবাই তাদের আশঙ্কামুক্ত বলে দাবি করছেন, যা দুঃখজনক।
রাশেদ বলেন, আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর কবির নানক ও বাহাউদ্দিন নাছিম হাসপাতালে এসে বলেছিলেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হামলাকারীদের আটক করা হবে। কিন্তু আমরা দেখেছি, মানুষকে ধোঁকা দেয়ার জন্য মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের তিনজনকেই কেবল গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু মূল আসামি সনজিত ও সাদ্দামকে এখনও আটক করা হয়নি। অথচ আমাদের কাছে ভিডিও ফুটেজ আছে, তাতে হামলায় সনজিত ও সাদ্দামের অংশগ্রহণ আছে। আমরা সেটি প্রকাশ করেছি। কিন্তু সনজিত-সাদ্দামকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না। তথ্যপ্রমাণ থাকলেও তাদের ধরা হচ্ছে না।
সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক আহত মশিউর রহমান বলেন, সনজিত ও সাদ্দামের নির্দেশে ছাত্রলীগকর্মীরা লাইট বন্ধ করে আমাদের ওপর হামলা করে। অথচ এখন পর্যন্ত মূল আসামি কাউকে আটক করা হয়নি। হামলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তিনি যথাসময়ে ব্যবস্থা নিলে এই হামলা ঘটত না।
মশিউর আরও বলেন, ছাত্রলীগের পদবীধারীরাই মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নামে আমাদের ওপর হামলা করছে, যেন ছাত্রলীগের নাম না জড়িয়ে পড়ে। কিন্তু ছাত্রলীগ ও মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ প্রকৃতপক্ষে একই সংগঠন।
এআর/এসআর/পিআর/এমএস