ডাকসু নেতাদের এমন কথা শুনি, যেগুলো ভালো লাগে না : রাষ্ট্রপতি
রাষ্ট্রপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আচার্য মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, ‘ডাকসু (ঢাবি কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ) নেতৃবৃন্দের ব্যাপারে এমন সব কথা শুনি, যেগুলো আমার ভালো লাগে না। এর বেশি বলে আমি কাউকে হেয়প্রতিপন্ন করতে চাই না। তবে তাদের কর্মকাণ্ড আমার ভালো লাগে না।’
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫২তম সমাবর্তনে এসব কথা বলেন রাষ্ট্রপতি।
তিনি বলেন, ‘তাদের এমন কিছু করা উচিত, যা সাধারণ ছাত্রদের কল্যাণে কাজ করে। সেটা তাদের সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দেয়া উচিত।’
ডাকসু নির্বাচন করায় ঢাবি উপাচার্যসহ বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারকে ধন্যবাদ জানান রাষ্ট্রপতি।
তিনি বলেন, ‘আপনাকে আমি আরেকটু বলতে চাই, নির্বাচনের সময় কিছু কথা বা অপ্রীতিকর ঘটনা শুনেছি। আমি আশা করব, ভবিষ্যতে যখন আবার ডাকসু নির্বাচন হবে, তখন যাতে আরও সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে এ নির্বাচন হয়।’
অনুষ্ঠানে ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ‘আজ আমি সবাইকে বলতে চাই, আমাদের সন্তানদের আমরা সেই শিক্ষাদানের চেষ্টা করি, যে শিক্ষা তাদের মধ্যে যুক্তিবাদিতা, বিবেক ও মানবতাবোধকে জাগ্রত করবে। ফলে তারা ভালো চিন্তা ও কাঙ্ক্ষিত মানবোচিত কাজের সঙ্গে যুক্ত হবে।’
উপাচার্য বলেন, ‘দুঃখজনক হলেও সত্য যে, মানুষ অন্য-বস্ত্র-বাসস্থানসহ তথাকথিত উন্নত জীবনের বস্তুগত সামগ্রী অর্জনের নিমিত্তে অধিক মুনাফা লাভের প্রয়োজনীয় বিদ্যা লাভের পেছনে যতটা ছুটছে, মানবিকতা উন্নয়নমূলক শিক্ষা বিষয়ে ততটা নয়। আমাদের সামাজিক জীবনের যে অস্থিরতা, তরুণ সমাজের একাংশের যে বিপদগামিতার কথা আজ বলা হচ্ছে, এর অন্যতম কারণ এটি।’
তিনি বলেন, ‘প্রিয় স্নাতকবৃন্দ, বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্জিত শিক্ষা ও জ্ঞান নিয়ে বাস্তবতার জীবনে তোমরা প্রবেশ করতে যাচ্ছ। এ পথ বন্ধুর। তবে দুর্লঙ্ঘনীয় নয়। এ পথ পাড়ি দিতে হবে তোমাদের অর্জিত জ্ঞান, বিচক্ষণতা, ধৈর্য ও সৎ সাহস নিয়ে। তবে সুখের কথা হলো, বর্তমানে তোমরা যে কর্মজীবনে প্রবেশ করতে যাচ্ছ, তা এখন আর চরম দারিদ্র্যপীড়িত ভঙ্গুর অর্থনীতির বাংলাদেশ নয়। গত এক দশকে মাথাপিছু আয় প্রায় চারগুণ বৃদ্ধি পেয়ে এখন দুই হাজার ডলারে।’
পিডি/বিএ/পিআর