সমাবর্তন ঘিরে চুয়েটে প্রাণের উচ্ছ্বাস
সমাবর্তন উপলক্ষে গ্র্যাজুয়েটদের আগমনে মুখরিত হয়ে উঠেছে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) সবুজ চত্বর। প্রাণের ক্যাম্পাসে জীবনটাকে একটু উপভোগ করতে শত ব্যস্ততার মাঝেও ছুটে এসেছেন তারা। রেখে যাওয়া স্মৃতিগুলোকে মুহূর্তের জন্য ফিরে পেয়ে উচ্ছ্বসিত গ্র্যাজুয়েটরা।
অনেকে আবার ক্যাম্পাসে এসেই নিজ বিভাগের বর্তমান শিক্ষার্থীদের সঙ্গে করে ঘুরছেন, আড্ডা দিচ্ছেন। ফলে সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে চুয়েট।
আজ বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) বেলা আড়াইটায় চুয়েট কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে অনুষ্ঠিত হবে এ সমাবর্তন। সমাবর্তনে সভাপতি হিসেবে যোগ দেবেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য অ্যাডভোকেট মো. আবদুল হামিদ।
সমাবর্তনে যোগ দিতে ইতোমধ্যেই চট্টগ্রাম এসে পৌঁছেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। বুধবার বিকেলে ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারযোগে চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্টে অবতরণ করেন তিনি। সেখান থেকে বিশেষ নিরাপত্তায় সার্কিট হাউসে নিয়ে আসা হয় তাকে। রাত্রিযাপন করেছেন সার্কিট হাউসেই।
সমাবর্তনে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর দুই হাজার ২৩১ জন শিক্ষার্থীকে ডিগ্রি প্রদান করা হবে। এতে বিশেষ অতিথি থাকবেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ। সমাবর্তন বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন মঞ্জুরি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরী।
সমাবর্তন ঘিরে চুয়েট ক্যাম্পাসে নেয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি। এ উপলক্ষে কয়েকদিন আগে থেকেই বর্ণিলরূপে সাজানো হয় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। ভবন থেকে গাছপালা সবখানেই আলোর রোশনাই। কোথাও জ্বলছে লাল-বাতি, কোথাও বা সাদা-নীল। লেকের পানিতেও আলোর নাচন। সেখানে বসানো হয়েছে ফোয়ারা। সবখানেই উৎসবের আমেজ। যেন নবরূপে সেজে উঠেছে সবুজ প্রকৃতির কোলে গড়ে ওঠা চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে গ্র্যাজুয়েটরা ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় বসে হৈ-হুল্লোড় আর আড্ডায় মেতে আছেন। শহীদ মিনারসহ ক্যাম্পাসজুড়ে কেউ আড্ডা কেউবা বর্তমান শিক্ষার্থীদের নিয়ে গান-বাজনা করছেন।
দীর্ঘদিন পর পুরোনো বন্ধুদের পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়ছেন তারা। গল্প শুরু করেছেন ক্যাম্পাস মাতিয়ে তোলার সেই সোনালি দিনগুলোর স্মৃতি নিয়ে। কেউ কেউ সঙ্গে করে নিয়ে আসা পরিবারকে নিজের বিদ্যাপীঠটি ঘুরিয়ে দেখাতে ব্যস্ত। এই ক্যাম্পাসের সঙ্গে তাদের অনেক স্মৃতি জড়ানো। তাই তাদের সেই স্মৃতি ও অভিজ্ঞতাগুলো ভাগাভাগি করে নিচ্ছেন ক্যাম্পাসের নতুন মুখদের সঙ্গে। আর এ নতুন ও পুরাতন শিক্ষার্থীদের আড্ডায় যেন আনন্দের জোয়ার ভেসে বেড়াচ্ছে। তাদের চোখে-মুখে যেন পুরোনো দিনগুলোকে ফিরে পাওয়ার ভাবনা।
আবু আজাদ/বিএ/জেআইএম