বুয়েট শিক্ষার্থীদের অসন্তোষ, আবারো কঠোর কর্মসূচির চিন্তা
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:০৩ পিএম, ২৯ অক্টোবর ২০১৯
১০ দফার দাবির বিষয়ে প্রশাসনের ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার বুয়েটের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এক সংবাদ সম্মেলনে অসন্তোষ প্রকাশ করেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
তারা বলছেন, ১০ দফা দাবির মধ্যে শুধু হলের সিসিটিভি ও মেয়াদোত্তীর্ণদের হল থেকে বের করার বিষয়টি ছাড়া বাকিগুলোর বিষয়ে প্রশাসনের দৃশ্যমান উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। আমরা এ বিষয়ে চরম ধীরগতি লক্ষ্য করছি।
বুয়েটে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সমন্বয়ক অন্তরা তিথি বলেন, আমরা গত ১২ দিনে প্রশাসন থেকে ইতিবাচক কোনো উদ্যোগ পাইনি। আমরা অনেকে এসব বিষয়ে স্যারদের কাছে রিপোর্ট করলেও তারা কোনো ব্যবস্থা নেননি। তারা একাধিক তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন কিন্তু কমিটির কোনো কাজের অগ্রগতি আমরা দেখছি না।
তিনি বলেন, আমরা চাইবো বুয়েট প্রশাসন শিগগিরই আমাদের দাবিগুলোর বিষয়ে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করবে। অন্যথায় আমরা চলমান ক্লাস পরীক্ষা বর্জনের পাশাপাশি আরো কঠোর কর্মসূচি দেব। তবে কী কর্মসূচি দেওয়া হবে সেটি এখনই বলতে চাচ্ছি না।
‘আমরা ভিসি স্যারের সঙ্গে বসার চেষ্টা করছি। তিনি যদি আমাদের সন্তোষজনক উত্তর দিতে না পারেন তাহলে আমরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বসে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবো’
শিক্ষার্থীরা বলছেন, মামলার চার্জশিটের ভিত্তিতে আবরার হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের শাস্তির বিষয়ে প্রশাসনের উদ্যোগে ধীরগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আবরারের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেয়ার বিষয়েও এখন পর্যন্ত যোগাযোগ করা হয়নি। প্রশাসনের এ ভূমিকা আমাদের জন্য চরম উদ্বেগজনক।
শিক্ষার্থীরা সাফ জানিয়েছেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা ক্লাস পরীক্ষায় ফিরবেন না।
৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শেরেবাংলা হলে তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করেন শাখা ছাত্রলীগের একদল নেতাকর্মী। পরে শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে ১১ অক্টোবর বুয়েট ক্যাম্পাসে সাংগঠনিক ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন উপাচার্য সাইফুল ইসলাম। বুয়েট শিক্ষক সমিতির নেতারা উপাচার্যকে প্রশাসন পরিচালনায় ‘অক্ষম’ আখ্যা দিয়ে তার পদত্যাগ চাইলেও শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের পদত্যাগের দাবি তোলেননি।
এমএইচএম/এনএফ/জেআইএম