চতুর্থবার সাইকেল চুরি করতে এসে ধরা পড়ল চোর
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে সাইকেল চুরি করতে এসে শিক্ষার্থীদের হাতে ধরা পড়েছেন রাজু ওরফে এনামুল হক নামে এক ব্যক্তি। পরে তাকে নিয়ে চুরি হওয়া সাইকেল উদ্ধার করতে গিয়ে সন্ধান মিলেছে এক সিন্ডিকেটের। যারা চুরি থেকে শুরু করে বিক্রি পর্যন্ত বিভিন্নভাবে কাজ করছেন।
শনিবার দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ মখদুম হলের সামনে থেকে রাজুকে আটক করে লতিফ হলের অতিথি কক্ষে নিয়ে আসেন লতিফ হল শাখা ছাত্রলীগের কর্মী আরিফ হোসেন।
সেখানে উপস্থিত আবাসিক শিক্ষার্থী শাহরিয়ার সজল বলেন, প্রথমে নিজেকে নির্দোষ দাবি করলেও সিসিটিভির ফুটেজ দেখালে তিনটি সাইকেল চুরি করেছেন বলে স্বীকার করেন। তার বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ বলে জানিয়েছেন। পরে তাকে নবাব আব্দুল লতিফ হলের প্রাধ্যক্ষ একরাম হোসেনের উপস্থিতিতে মতিহার থানা পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
এদিকে আটক রাজুকে নিয়ে সাইকেল চুরি থেকে বিক্রির সিন্ডিকেট খুঁজতে শুরু করে পুলিশ। রাজুর দেয়া তথ্যে স্থানীয় কাটাখালী বাজারের মতিহার সাইকেল ভান্ডারে পাওয়া যায় দুটি সাইকেল।
সেখানে নেহাল নামে এক ব্যক্তি এই চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে। তার সঙ্গে রাজুর পরিচয় আছে। নেহালের কাছে চুরি করা সাইকেল বিক্রি করতেন রাজু।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান মিশু বলেন, চুরিকৃত সাইকেলগুলোর রঙ পরিবর্তনসহ বিভিন্নভাবে পরিবর্ধন করে এই সিন্ডিকেট। মতিহার সাইকেল ভান্ডার থেকে আগে চুরি হওয়া দুটি সাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে।
গত ২৩ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী ও নবাব আব্দুল লতিফ হলের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র মোস্তাকিমের সাইকেল চুরি যায়। এরপর থেকে সতর্ক ছিল হল প্রশাসন।
জানতে চাইলে হল প্রভোস্ট ড. একরাম হোসেন বলেন, কয়েকজন ছাত্রলীগ নেতাকর্মী রাজুকে আটকের পর আমাকে ফোন করে। তখন দ্রুত হলে আসি। সিসিটিভির ফুটেজ দেখে জিজ্ঞাসাবাদ করলে এর আগে হল থেকে তিনটি সাইকেল চুরির কথা স্বীকার করে রাজু। রাজুকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করলে এই চক্রের সন্ধান পাওয়া যাবে।
সালমান শাকিল/এএম/এমকেএইচ