উপাচার্যের অপসারণ দাবিতে জাবিতে মশাল মিছিল
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের অপসারণ দাবিতে মশাল মিছিল করেছেন আন্দোলনকারী শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
গতকাল মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’র ব্যানারে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের পাদদেশ থেকে প্রায় চারশ শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে মশাল মিছিলটি শুরু হয়। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ঘুরে বটতলায় সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
সমাবেশে বক্তারা জানান, বুধবার উপাচার্য নিজ কার্যালয়ে আসলে অবরুদ্ধ করা হবে এবং তাকে কোনো প্রশাসনিক কাজ করতে দেয়া হবে না। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে তারা পুরোনো প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেবেন বলেও জানান।
সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ দিদার বলেন, উপাচার্যের কাছে আসা যৌন নিপীড়নের অভিযোগের তদন্ত ও বিচার না করে তিনি অভিযুক্তদেরকে নিজের দলে ভেড়ান। দুর্নীতি ও বিভিন্ন অপকর্মে সম্পৃক্ত এই উপাচার্যের অপসারণের দাবিতে আমরা নৈতিক দায়বোধ থেকে আন্দোলন করছি। কাল থেকে তাকে আর কোনো প্রশাসনিক কাজ করতে দেয়া হবে না।
সমাবেশে জাবি ছাত্র ইউনিয়নের কার্যকরী সদস্য রাকিবুল রনি বলেন, প্রকল্পের অর্থ থেকে যারা ভাগ পেয়েছে তাদের স্বীকারোক্তির পরও তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। উপাচার্য চোর-বাটপারের মতো দুর্নীতি করেছে তা আমাদের কাছে স্পষ্ট। উপাচার্যসহ তার সমর্থকেরাও দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত। এই উপাচার্যকে অপসারণ না করা পর্যন্ত তাকে অবরুদ্ধ করে রাখা হবে।
মশাল মিছিল ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশে অন্যদের মধ্যে অধ্যাপক রায়হান রাইন, আনোয়ারুল্লাহ ভূঁইয়া, শামীমা সুলতানা, খবির উদ্দিন, নূরুল ইসলাম, নাজমুল হাসান তালুকদার, তারেক রেজা, আবু সাঈদ মো. মোস্তাফিজুর রহমান, খন্দকার হাসান মাহমুদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও জাবি শাখা ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্র ফ্রন্ট, ছাত্র ফ্রন্ট (মার্ক্সবাদী), জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোট, বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা মশাল মিছিল ও সমাবেশে অংশ নেন।
আরএআর/জেআইএম