আবরার হত্যার প্রভাব ভর্তি পরীক্ষায় পড়েনি : বুয়েট ভিসি

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১১:৫৭ এএম, ১৪ অক্টোবর ২০১৯

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম বলেছেন, ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের দাবি পূরণে আমরা কাজ করছি। আবরার হত্যার প্রতিবাদের আন্দোলন ভর্তি পরীক্ষার্থীদের মধ্যে কোনো প্রভাব ফেলেনি। তিনি বলেন, ৯০ ভাগ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে।

আজ সোমবার (১৪ অক্টোবর) সকাল ৯টায় বুয়েটে ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়। ৩ ঘণ্টাব্যাপী এই লিখিত পরীক্ষা চলবে দুপুর ১২টা পর্যন্ত। এর মধ্যে বেলা পৌনে ১১টার দিকে ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের এসব কথা বলেন বুয়েট ভিসি।

ভর্তি পরীক্ষার কয়েক দিন আগে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার প্রতিবাদে আন্দোলনে উত্তাল হয়ে ওঠে বুয়েট ক্যাম্পাস। এ সময় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা ১০ দফা দাবি জুড়ে দেন। তাদের দাবি মানা না হলেও ভর্তি পরীক্ষা হতে দেয়া হবে না বলেও জানান আন্দোলনকারীরা। একপর্যায়ে বুয়েট কর্তৃপক্ষ তাদের দাবি-দাওয়া মেনে নিলে ১৩ ও ১৪ অক্টোবর আন্দোলন শিথিল করেন আন্দোলনকারীরা।

চলমান সংকট নিরসনে কয়েকটি কমিটি গঠন করা হয়েছে উল্লেখ করে ভিসি সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের দাবি আমরা মেনে নিয়েছি। আমাদের যে সমস্যা রয়েছে সেগুলো সমাধানে বেশ কয়েকটি কমিটি করেছি। আশা করি, দ্রুতই সংকট নিরসন হবে।’

আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে ইতোমধ্যে বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করেছে কর্তৃপক্ষ। ছাত্রলীগ নেতাদের কিছু কক্ষ সিলগালা ও অবৈধ ছাত্রদের হল থেকে বের করে দিয়েছে বুয়েট। এ বিষয়ে ভিসি জানান, বুয়েটের হলে হলে অভিযান অব্যাহত থাকবে।

তিনি আরও বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা যেকোনো প্রয়োজনে আমার সঙ্গে আলোচনা করতে পারে। আশা করি, তারা আমাদের সহযোগিতা করবে। কারণ তাদের দাবির বিষয়ে আমরা একমত।’

আবরার হত্যার বিচারের বিষয়ে ভিসি বলেন, ‘এই হত্যাকাণ্ডের বিচারে আমরা আন্তরিক। সরকারও বিচারের বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছে। তাই আশা করি, সুষ্ঠু বিচার হবে।’

পিডি/এসআর/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।