ভেতরে ভিসি, বাইরে তালা
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৬:০০ পিএম, ০৮ অক্টোবর ২০১৯
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক সাইফুল ইসলামের ভবনে তালা দিয়েছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
বিকেল ৫টা পর্যন্ত দেয়া আলটিমেটামের সময় শেষ হওয়ায় একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেয়া হয়। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত সব ক্লাস পরীক্ষা বর্জন ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। এছাড়া ১৪ অক্টোবর বুয়েটের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত রাখার ঘোষণা চান তারা।
শিক্ষার্থীরা জানান, ভিসি স্যারের সঙ্গে আলোচনার পথ খোলা আছে, স্যার চাইলে যে কোনো সময় আমরা বসতে রাজি আছি। স্যার আমাদের দাবি-দাওয়া মেনে নিলে আমরা আন্দোলন ছেড়ে ক্লাসে যাব।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যার ঘটনায় শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পরিস্থিতি নিয়ে বিভাগীয় চেয়ারম্যান ও ডিনদের সঙ্গে গোপনে বৈঠকে যোগ দেন ভিসি।
এ খবর পেয়ে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের একটি গ্রুপ ভিসি ভবনের মূল ফটকের কলাপসিবল গেটে তালা ঝুলিয়ে দেন।
‘আমার ভাই কবরে, ভিসি কেন ভেতরে?’, ‘বিচার চাই, বিচার চাই’, ‘হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই’ স্লোগান নিয়ে ভিসি ভবনের সামনে বিক্ষোভ করছিলেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। ভবনের কলাপসিবল গেটে তালা ঝুলিয়ে ভিসি ভবনের সামনে বিক্ষোভ করতে থাকেন তারা।
বিকেল সাড়ে ৪টায় বুয়েটের ভিসির কার্যালয়ে এ বৈঠক বসে বলে নিশ্চিত করেছেন উপাচার্যে র(ভিসি) পিএস (একান্ত সচিব) কামরুল ইসলাম।
তিনি জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের ডিন ও বিভাগীয় চেয়ারম্যানদের নিয়ে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে এ বৈঠক শুরু হয়েছে। শিক্ষার্থীদের আন্দোলন নিরসনের জন্য বিভাগীয় চেয়ারম্যান ও ডিনদের সঙ্গে ভিসি স্যার বৈঠকে বসেছেন।
কামরুল ইসলাম বলেন, সেখানে সার্বিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। কীভাবে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন থেকে সরিয়ে এনে বুয়েটের চলমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা যায় সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এ সভার পর আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে শিক্ষক, সাংবাদিকদের নিয়ে ভিসি স্যারের বৈঠকে বসার কথা রয়েছে।
তবে বৈঠকে প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। তারা বলেছেন, আমরা চাই আন্দোলনের মাঝে ভিসি স্যার এসে আমাদের দাবি দাওয়া কীভাবে মানবেন ও বাস্তবায়ন করবেন সে বিষয়গুলো বলবেন।
এ দিকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
এমএইচএম/এইউএ/জেএইচ/পিআর