রাব্বানী ডাকসুকে কলঙ্কিত করেছেন : দাবি বিভিন্ন সংগঠনের
গোলাম রাব্বানী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও এর ঐতিহাসিক গৌরবকে কলঙ্কিত ও অপমানিত করেছেন বলে দাবি তুলে অবিলম্বে তার পদত্যাগের আহ্বান জানিয়েছে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন।
রোববার দুপুরে ডাকসু ভবনের সামনে গোলাম রাব্বানীকে চাঁদাবাজ অ্যাখ্যা দিয়ে অনতিবলম্বে তার পদত্যাগ ও গেফতারের দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন।
ছাত্র ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক জাহিদ সুজন বলেন, ডাকসু নির্বাচন যখন অনুষ্ঠিত হয়েছে, তখন আমাদের স্পষ্ট অভিযোগ ছিল এ নির্বাচন আসলে জালিয়াতির নির্বাচন হয়েছে। বিশেষ করে মেয়েদের হলে বেশি কারচুপি হয়েছে। আমরা পুনর্নির্বাচনের দাবি জানিয়েছিলাম। প্রশাসন কোনো ধরনের কর্ণপাত না করে তাদের নিয়ে চলছিলেন। মাঝপথে কী হলো আমরা তো দেখলাম।
তিনি বলেন, অনতিবিলম্বে এই চাঁদাবাজ এবং দুর্নীতিগ্রস্ত ডাকসুর জিএসের পদত্যাগ দাবি করছি। যিনি দল থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন। এ রকম একজন ডাকসু জিএসকে আমরা চাই না।
এ সময় চাদাঁবাজের অভিযোগে বহিষ্কৃত ছাত্রলীগের সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ডাকসুর জিএস (সাধারণ সম্পাদক) গোলাম রাব্বানী ও সিনেট সদস্য ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভনকে গ্রেফতার ও বিচারের দাবিও জানায় বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন।
এদিকে ডাকসুর জিএস গোলাম রাব্বানীকে পদত্যাগ করার আহ্বান জানিয়েছেন ডাকসু ভিপি নূরুল হক নুর।
তিনি বলেন, ডাকসু হচ্ছে এ দেশের মানুষের আস্থার ঠিকানা। ডাকসু ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশকে পথ দেখায়। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, ডাকসু জিএস রাব্বানী যে অপরাধের সাথে জড়িত, তাতে তিনি ডাকসুর জিএস থাকতে পারেন না। তার উচিত স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ডাকসুর গৌরবময় ইতিহাসকে কলঙ্কমুক্ত করা।
জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল থেকে ডাকসুর ভিপি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী মোস্তাফিজুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, আমরা জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল প্যানেল মনে করি, ডাকসুর জিএস পদে থাকার নৈতিক অধিকার রাব্বানীর আর নেই। চাঁদাবাজির অপরাধে বহিষ্কার হওয়া ব্যক্তি ডাকসু জিএস থাকা মানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ডাকসুর ইতিহাস কলঙ্কিত করা। আমরা এর পদত্যাগ চাই। না হয় আমরা এর বিরুদ্ধে কঠিন প্রতিরোধ গড়ে তুলব।
আল সাদী ভূঁইয়া/এমএসএইচ