অভিন্ন নিয়োগ-পদোন্নতি নীতিমালা প্রত্যাখ্যান শেকৃবি শিক্ষক সমিতির
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সুপারিশ করা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ ও পদোন্নতি সংক্রান্ত অভিন্ন নীতিমালা প্রত্যাখ্যান করেছে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (শেকৃবি) শিক্ষক সমিতি।
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এ নীতিমালা প্রত্যাখ্যান করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে শেকৃবির শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. মো. নজরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. মো. মিজানুর রহমান গণমাধ্যমকর্মীদের সামনে তাদের প্রতিবাদ তুলে ধরেন।
শিক্ষক নেতারা বলেন, আমরা বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানতে পেরেছি এ নীতিমালায় বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে লেকচারার পদে আবেদনের জন্য একজন প্রার্থীকে স্নাতকের পর স্নাতকোত্তর সম্পন্ন হতে হবে। চাকরি পেতে দেরি হবে বিধায় এতে আমরা মেধাবী শিক্ষক পাব না। কারণ অনেকেই অন্যত্র চাকরিতে প্রবেশ করে ফেলবে। মেধাক্রম অনুযায়ী ৭% শিক্ষার্থী শিক্ষক হওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবে-এ নিয়ম কেন শুধু কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য প্রযোজ্য হবে? সামগ্রিকভাবে সব বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য অভিন্ন নীতিমালা প্রণয়নের সুযোগ নেই। তবে সাধারণ কিছু বিষয় অভিন্ন হতে পারে। শিক্ষকদের পদোন্নতিতেও বিধি-নিষেধ আরোপ করা হচ্ছে। পদোন্নতির সুযোগ সীমিত হলে মেধাবীরা শিক্ষকতা পেশায় আসবে না। গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা ও গবেষণাপত্র প্রকাশের জন্য পর্যাপ্ত আর্থিক বরাদ্দ ও সুযোগ-সুবিধা প্রদান করতে হবে।
তারা আরও বলেন, শিক্ষকরা আগে যে সুযোগ-সুবিধা পেতেন তা থেকে যেন তাদের বঞ্চিত না করা হয়। এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশকে ধ্বংস করার একটি পায়তারা। এতে শিক্ষাব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। শিক্ষক প্রতিনিধিদের মতামত সাপেক্ষে নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে। প্রহসনমূলক এ নীতিমালা আমরা মানতে পারব না।
রাকিব খান/এনডিএস/এমকেএইচ