ছাত্রলীগের নিয়োগ বাণিজ্যের খবর প্রকাশ করায় শিক্ষার্থীকে নির্যাতন
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রোকেয়া হলে ছাত্রলীগের নিয়োগ বাণিজ্যের খবর প্রকাশ করায় এক শিক্ষার্থীকে নিযার্তনের অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হলে এ ঘটনা ঘটে। বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী শিক্ষাথী শ্রবণা শফিক দীপ্তি এ অভিযোগ করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিজেস্টার ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ভালনারেবিলিটি স্টাডিজ বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে দীপ্তি বলেন, আমি রোকেয়া হলের আবাসিক ছাত্রী। কয়েকদিন আগে হলে এক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেখতে পাই। এতে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী হিসেবে ৪টি পোস্টে ৮ জন কর্মচারী নিয়োগের কথা উল্লেখ্য করা হয়। আমি হলের এক দাদুর মাধ্যমে জানতে পারি, রোকেয়া হল সংসদের ভিপি ইশরাত জাহান তন্বী ৮ লাখ টাকার বিনিময়ে কর্মচারী কামাল উদ্দীনের স্বজন কামরুজ্জামানকে নিয়োগ দিচ্ছেন, জিএস সায়মা আক্তার প্রমি ৫ লাখ টাকার বিনিময়ে মালি চৌহানের ছেলে পলাশ চৌহানকে নিয়োগ দিচ্ছেন এবং বিএম লিপি ও শ্রাবণী দিশা মিলে ৮ লাখ টাকার বিনিময়ে একজন নিরাপত্তা প্রহরীতে নিয়োগ দিচ্ছেন। আর এতে ভাগ বাটোয়ারা না পেয়ে হল সংসদের এজিএস ফাল্গুনী তন্বী দিশেহারা।
তিনি আরও বলেন, এ খবর আমি ফেসবুকে পোস্ট করার পর তা জানাজানি হয়ে গেলে গতকাল সোমবার একটি নোটিশ পাঠিয়ে আজ মঙ্গলবার হল প্রাধ্যক্ষ অফিসে তদন্তের নামে আমাকে ডাকা হয়। সেখানে আমি উপস্থিত হলে হল প্রধ্যক্ষ, ডাকসু ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক বিএম লিপি আক্তার, ভিপি তন্বী, জিএস প্রমি, এজিএস তন্বী ও শ্রাবণী দিশা আমাকে গালাগালি ও হুমকি দেন। হলের প্রাধ্যক্ষও তাদের সঙ্গে এক হয়ে আমাকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রোকেয়া হল ছাত্রলীগের সভাপতি লিপি আক্তার বলেন, দীপ্তি যে অভিযোগ করেছেন তা সত্য নয়। এ ঘটনার কোনো প্রমাণ তিনি দেখাতে পারেননি।
ঘটনার সত্যতা জানতে রোকেয়া হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক জিনাত হুদাকে কয়েকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এমএসএইচ/এমএস