নভেম্বরের মধ্যেই জাকসু নির্বাচন
দীর্ঘ ২৭ বছরও অনুষ্ঠিত হয়নি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচন। এ বছরের জুনে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম আগামী নভেম্বরের মধ্যে জাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রতিশ্রুতি দেন। তবে এখনও জাকসুর গঠনতন্ত্র সংশোধন ও নির্বাচন কমিশন পূর্ণাঙ্গ না হলেও প্রশাসন থেকে বলা হচ্ছে নভেম্বরের মধ্যেই জাকসু নির্বাচন সম্ভব।
এ বছর জাকসু বাস্তবায়নের দাবিতে আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় গত ২৮ জুন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৮তম সিনেট অধিবেশনকে কেন্দ্র করে সিনেট ভবনের সামনে অবস্থান নেয় শিক্ষার্থীরা। উপাচার্য সিনেট অধিবেশনে যাওয়ার পূর্বে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনায় ৩১ জুলাই জাকসুর নির্বাচন কমিশন গঠন ও এ বছরের নভেম্বরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রতিশ্রুতি দেন।
গত ৩১ জুলাই পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক আব্দুল মান্নান চৌধুরীকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে মনোনীত করা হয়। তবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার মনোনয়নের প্রায় এক মাস পেরিয়ে গেলেও কমিশন পূর্ণাঙ্গ করা হয়নি।
উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত নির্বাচন কমিশন পূর্ণাঙ্গ করা হবে বলে জানান, প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক আব্দুল মান্নান। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন পূর্ণাঙ্গ হলেই কমিশন জাকসু নিয়ে আলোচনা করতে পারবে। উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনা করে শিগগিরই জাকসু’র নির্বাচন কমিশন পূর্ণাঙ্গ করা হবে।
এদিকে জাকসু’র গঠনতন্ত্র সংশোধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক শেখ মো. মনজুরুল হককে আহ্বায়ক করে ৯ সদস্য বিশিষ্ট একটি প্রস্তুতি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি ক্যাম্পাসের ক্রিয়াশীল সকল রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও সাংবাদিক সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা সম্পন্ন করেছে।
আলোচনায় অংশ নিয়েছে দীর্ঘদিন ক্যাম্পাসের বাইরে থাকা সংগঠন ছাত্রদল। শিগগিরই জাকসু’র সভাপতি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ফারজানা ইসলামের কাছে সংশোধিত গঠনতন্ত্র হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছে প্রস্তুতি কমিটি।
প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক আবদুস সালাম মিঞা বলেন, গঠনতন্ত্র সংশোধনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকাভুক্ত সব রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও সাংবাদিক সংগঠনের সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে আলোচনা সম্পন্ন হয়েছে। সব সংগঠনই লিখিত প্রস্তাব দিয়েছে।
প্রতিশ্রুত সময়ের মধেই জাকসু নির্বাচন সম্ভব বলে মনে করছেন উপাচার্য। তিনি বলেন, অল্প কিছুদিনের মধ্যেই নির্বাচন কমিশন গঠন করার সম্ভাবনা আছে। নির্বাচন কমিশন পূর্ণাঙ্গ হলেই পুরোদমে কাজ শুরু হবে। জাকসু’র গঠনতন্ত্র সংশোধনের কাজও অনেকদূর এগিয়েছে। চলতি বছরের নভেম্বরেই নির্বাচন দেয়া সম্ভব বলে মনে করি।
এমএএস/পিআর