১৮ দিনে রেজাল্ট দিয়ে রেকর্ড গড়ল রাবির ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগ

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
প্রকাশিত: ১০:২৩ এএম, ৩০ আগস্ট ২০১৯

পরীক্ষার সাত থেকে আট মাস পরও যখন বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা ফলাফল পাচ্ছেন না, এমনকি ফলাফলের দাবিতে আন্দোলনও করছেন ঠিক সেই সময়েই মাত্র ১৮ দিনে ফলাফল প্রকাশ করে রেকর্ড তৈরি করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগ।

বিশ্ববিদ্যালয়টির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দফতরের উদ্যোগে চালু হওয়া অনলাইন এক্সাম প্রসেসিং সিস্টেমের মাধ্যমে এটি সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওই বিভাগের শিক্ষকরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক বাবুল ইসলাম জানান, ২০১৭-১৮ সেশনে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল অনুষদে প্রথম এই পদ্ধতি চালু করা হয়। পরবর্তীতে ২০১৮-১৯ সেশন থেকে ব্যাবসায় শিক্ষা অনুষদে এ পদ্ধতি শুরু করি। অন্য অনুষদগুলোতে এমন পদ্ধতি চালুর প্রস্তুতি নিয়েছে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দফতর।

উল্লিখিত পদ্ধতি সম্পর্কে তিনি বলেন, ম্যানুয়াল ফলাফল প্রস্তুতে তিন জন টেবুলেটর কাজ করেন কিন্তু অনলাইনে সকল পরীক্ষকই টেবুলেটর হিসেবে কাজ করেন। যেমন পাঁচটি কোর্সের পরীক্ষায় দশ জন পরীক্ষক টেবুলেটর হিসেবে কাজ করবেন। সুতরাং ভুলের সম্ভাবনা একেবারেই ন্যূনতম। এছাড়াও অনলাইন ফলাফল প্রস্তুতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তৃতীয় পরীক্ষণের তালিকা পাওয়া যাবে।

প্রক্রিয়াটিতে একজন শিক্ষার্থী তার নিজ আইডি দিয়ে লগইন করে শুধু নিজের ফলাফল দেখতে ও জানতে পারবে। কেউ কারো ফলাফল দেখতে পারবে না।

ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শাওন উদ্দিন তার ফেসবুক ওয়ালে লিখেছেন, বিভাগের প্রথম বর্ষের প্রথম সেমিস্টারের পরীক্ষা শেষ হওয়ার ১৮ দিনের মধ্যেই ফলাফল প্রকাশ সম্ভব হয়েছে, অবশ্য এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট পরীক্ষক মণ্ডলীর সর্বোচ্চ সহযোগিতাই মূল বিষয়।

তবে অনলাইনে ফলাফল প্রস্তুত ও প্রকাশে নিরাপত্তার বিষয়ে জানতে চাইলে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক বাবুল ইসলাম বলেন, ফলাফল প্রস্তুতে যাতে কোনো অনিয়মের অভিযোগ না থাকে সেজন্য কয়েক স্তরের নিরাপত্তার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। রেজাল্ট তৈরির পর ইচ্ছা করলেই গোপনে ফলাফল পরিবর্তন বা নম্বর পরিবর্তন করার সুযোগ থাকছে না।

সালমান শাকিল/এফএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।