ফুল ব্যবসায়ীকে ‘বিএনপি এজেন্ট’ আখ্যা দিয়ে পেটালেন ছাত্রলীগ নেতা

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক ঢাবি
প্রকাশিত: ০২:১১ পিএম, ২৯ আগস্ট ২০১৯

চাঁদা না দেওয়ায় শাহবাগ বটতলা ক্ষুদ্র ফুল ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমেদকে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নাট্য ও বিতর্ক সম্পাদক জুয়েল মোল্লা পিটিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মারধরের শিকার শামীমকে বিএনপি-জামায়াতের এজেন্ট আখ্যাও দেয়া হয়েছে।

গতকাল বুধবার বিকেলের দিকে শাহবাগ ক্ষুদ্র ফুল ব্যবসায়ী সমিতির কার্যালয়ে এ মারধরের ঘটনা ঘটে। ফুল ব্যবসায়ী সমিতির নেতারা জানান, ঈদুল আজহার আগে বকশিশ হিসেবে সমিতির কাছে চাঁদা দাবি করেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নাট্য ও বিতর্ক বিষয়ক সম্পাদক জুয়েল মোল্লা। কিন্তু তখন চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানান সমিতির সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমেদ।

পরে ১৫ আগস্ট ছাত্রলীগের শোক দিবসের কর্মসূচিতে দুটি ‘ফুলের ডালা’ বিনামূল্যে নিয়ে যান তিনি। ফুল নিলেও চাঁদার দাবিতে মাঝে মধ্যেই ফোন দিতেন জুয়েল। একপর্যায়ে বুধবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ফুল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি কামাল মিয়াকে ফোন দেন জুয়েল। তিনি জুয়েলকে ব্যবসায়ী সমিতির কার্যালয়ে যেতে বলেন। জুয়েল বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে কেন্দ্রীয় কমিটির উপ-ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক বায়েজীদ কোতোয়ালসহ ছয়জন নেতাকর্মীকে নিয়ে শাহবাগ বটতলা ক্ষুদ্র ফুল ব্যবসায়ী সমিতির কার্যালয়ে যান। সেখানে তিনি বলেন, শামীম আহমেদ ‘বিএনপি-জামায়াতের এজেন্ট’ ও বিএনপি-জামায়াতের বিভিন্ন কর্মসূচিতে বিনামূল্যে ফুল দেয়।

কিন্তু শামীম অভিযোগ অস্বীকার করলে তাকে থাপ্পড় দেন জুয়েল। এসময় সেখানে জুয়েলের সঙ্গে উপস্থিত কর্মীরা মারধরে অংশ নেন বলেও অভিযোগ সমিতির নেতাদের।

শামীম আহমেদ বলেন, ঈদের আগে থেকেই চাঁদার জন্য ফোন দিতেন। কিন্তু জুয়েলকে ব্যবসার অবস্থা ভালো না বলে চাঁদা দিতে অস্বীকার করি। কিন্তু তিনি আমাকে ও সমিতির সভাপতিকে মাঝে মধ্যেই ফোন দিতেন। সর্বশেষ বুধবার বিকেলে এসে আমি নাকি বিএনপি করি বলে আমাকে মারধর করেন।

তবে এ বিষয়ে ছাত্রলীগের নাট্য ও বিতর্ক বিষয়ক সম্পাদক জুয়েল মোল্লা বলেন, চাঁদা চাওয়ার অভিযোগ সত্য নয়। আমি খবর পেয়েছি শামীম বিএনপি করেন এবং বিএনপি-জামায়াতপন্থী ৫-৭টি দোকানের পৃষ্ঠপোষকতা করেন। শাহবাগ অনেক গুরুত্বর্পূণ জায়গা এখান থেকে তারা আমাদের দলীয় তথ্য পাচার করে। আমি আদর্শিক দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে এখানে এসে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চেয়েছি। কারো গায়ে সামান্য স্পর্শ করিনি।

জুয়েল মোল্লা ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর অনুসারী। অভিযোগের বিষয়ে জানতে গোলাম রাব্বানীকে ফোন দিলেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

জুয়েলের নামে স্যার এ এফ রহমান হলের সামনের দোকান, নীলক্ষেত সিটি করপোরেশন মার্কেট ও গাওসুল আজম মার্কেটে চাঁদাবাজি করার অভিযোগ রয়েছে।

এনএফ/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।