ঢাবিতে চলছে বঙ্গবন্ধু বইমেলা
বাংলাদেশের স্বাধীনতার মহান স্থপতি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে চারদিনব্যাপী ‘বঙ্গবন্ধু বইমেলা’র আয়োজন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু)।
আজ (বুধবার) থেকে ৩১ আগস্ট (শনিবার) পর্যন্ত এ মেলা চলবে। বইমেলার সার্বিক তত্ত্বাবধান করছে ডাকসুর সাহিত্য বিভাগের সংগঠন ‘ডাকসু সাহিত্য মঞ্চ’।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) এ মেলা বসেছে। এতে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রকাশনার প্রায় অর্ধশত স্টল রয়েছে। স্টলগুলো বাংলাদেশের বিশিষ্ট কবি, সাহিত্যিক, রাজনীতিবিদ ও খ্যাতনামা লেখকদের বই পাওয়া যাবে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে শুরু করে রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে এ মেলা।
বুধবার সকালে টিএসসির অডিটোরিয়ামে মেলার উদ্বোধন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন, বিশেষ অতিথি ছিলেন ডাকসুর জিএস ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী, ডাকসুর এজিএস ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন, বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সভাপতি মো. আরিফ হোসেন ছোটন এবং অন্যপ্রকাশের প্রধান নির্বাহী মাজহারুল ইসলাম।
মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেন, ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধু যে ভাষণ দিয়েছিলেন সেটা আজ সমগ্র পৃথিবীর মানুষ ধারণ করেছে। এ ভাষণকে তারা একটি অনন্য দলিল হিসেবে গ্রহণ করেছে। সুতরাং এ ভাষণ শুধু বাঙালি জাতিকে উদ্বুদ্ধ করে না, যে কোনো দেশের যেকোনো জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করতে পারে। তাই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বঙ্গবন্ধুর এই ঐতিহাসিক ভাষণকে যথাযথ মর্যাদা দিয়েছে।
তিনি বলেন, আজকে ডাকসুর উদ্যোগে যে বইমেলার আয়োজন করা হয়েছে, তার মাধ্যমে আগামীর প্রজন্মের কাছে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও জীবনদর্শন ছড়িয়ে পড়বে।
ঢাবি ভিসি অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার পরিবারের অন্যান্য সদস্য, যারা ১৫ আগস্ট নিহত হয়েছিলেন, তাদের স্মরণে বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। তারই অংশ হিসেবে আজ ডাকসুর উদ্যোগে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে এই বিশেষায়িত বইমেলার আয়োজন করা হয়েছে।
তিনি এ ধরনের কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশের সংস্কৃতি, ইতিহাস, ঐতিহ্য ও বঙ্গবন্ধুকে জানার সুযোগ পাবে বলে মন্তব্য করেন।
‘বঙ্গবন্ধু বইমেলা’-র আয়োজক ডাকসুর সাহিত্য সম্পাদক মাজহারুল কবির শয়ন বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু বইমেলা’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বঙ্গবন্ধু এবং মুক্তিযুদ্ধ পাঠে সহায়তা করবে। এবং এ ধরনের আয়োজন শিক্ষার্থীদের সাহিত্যপ্রেমী করে তুলবে।
বইমেলাকে সার্থক করতে সব শ্রেণির মানুষকে বইমেলায় আসার অনুরোধ জানান ডাকসুর এ সম্পাদক।
জেডএ/এমকেএইচ