আর টেন্ডারবাজি করবে না ইবি ছাত্রলীগ

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়
প্রকাশিত: ০৬:৩৭ পিএম, ১৯ আগস্ট ২০১৯

আর কোনো ধরনের টেন্ডারবাজি করবে না বলে ঘোষণা দিয়েছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ। পবিত্র ঈদুল আজহার ছুটির আগে টেন্ডার নিয়ে গ্রুপিং হওয়ার পর ক্যাম্পাস খোলার পরই এ ঘোষণা দিয়েছেন ছাত্রলীগের নেতারা।

সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় উপাচার্যের কার্যালয়ে প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের সামনে এ ঘোষণা দেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক। এ সময় তারা ক্যাম্পাস বহিরাগতমুক্ত করতে প্রশাসনের সহায়তা চান। একই সঙ্গে আবাসিক হলগুলো অছাত্রমুক্ত করে নিয়মিত ছাত্রদের আবাসনের ব্যবস্থার দাবি জানান ছাত্রলীগ নেতারা।

ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৩৭ কোটি টাকার মেগা প্রকল্পের কাজের টেন্ডার বণ্টন শুরু হয়েছে ইতোমধ্যে। গত ৬ আগস্ট টেন্ডার নিয়ে ছাত্রীগের গ্রুপিং প্রকাশ্যে আসে। সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক গ্রুপ ও বিদ্রোহী গ্রুপের নেতাকর্মীরা ক্যাম্পাসে পাল্টাপাল্টি শোডাউন দেয়। ছুটি শেষে ক্যাম্পাস খোলার পর এরই মধ্যে টেন্ডার ভাগাভাগি নিয়ে পাল্টাপাল্টি শোডাউন ও প্রভাব বিস্তার শুরু হয়েছে।

সোমবার ছাত্রলীগের দলীয় টেন্ট থেকে শোডাউন নিয়ে উপাচার্য অধ্যাপক হারুন-উর-রশিদ আসকারীর সঙ্গে সাক্ষাত করতে যায় ছাত্রলীগের শাখা সভাপতি রবিউল ইসলাম পলাশ ও সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম রাকিব।

এ সময় উপাচার্যের কার্যালয়ে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক শাহিনুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক সেলিম তোহা, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এস এম আব্দুল লতিফ, শাপলা ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মাহবুবর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, টেন্ডারের সঙ্গে ইবি ছাত্রলীগের কোনো ধরনের সম্পর্ক নেই। ছাত্রলীগ কোনো ধরনের টেন্ডার বা অনৈতিক কাজ করবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের মেগা প্রকল্পের কাজে কেউ ঝামেলা করার চেষ্টা করলে আমরা শক্ত হাতে প্রতিহত করব। এছাড়া তিনি ক্যাম্পাসকে শতভাগ বহিরাগতমুক্ত রাখতে প্রশাসনের সহায়তা চান।

ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল ইসলাম পলাশ বলেন, ছাত্রলীগের ব্যানারে কেউ কোনো ধরনের টেন্ডারবাজি বা অনৈতিক কাজে জড়িত হলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ব্যবস্থা গ্রহণ করলে আমরা আপত্তি করব না। হল থেকে অছাত্রদের বের করে দিয়ে বৈধ ছাত্রদের থাকার ব্যবস্থা করতেও প্রশাসনের কাছে তিনি দাবি জানান।

উপাচার্য অধ্যাপক হারুন-উর-রশিদ আসকারী বলেন, যে জিনিসগুলো আমাদের প্রতিনিয়ত বিভ্রান্ত করে, বিব্রত করে তা বর্তমান ছাত্রলীগের নেতারা বুঝতে পারে। ছাত্রলীগ টেন্ডারে মাথা ঘামাবে না, নাক গলাবে না এটা অত্যন্ত সুন্দর কথা। এটা মেঘ না চাইতেই বৃষ্টির মতো। এত বড় মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নে এই কথা আমাদের সাহস জুগিয়েছে। অছাত্রদের হল ছাড়া করতে প্রভোস্টদের সঙ্গে আমরা মিটিং করেছি। তারা কোন প্রভাবে এবং কি কারণে এখনো হলে আছে তা চিহ্নিত করে শাস্তির ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেছি।

ফেরদাউসুর রহমান সোহাগ/এএম/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।