ব্যানার-ফেস্টুন হাতে ঢাবিতে কাশ্মীরি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

জাগো নিউজ ডেস্ক
জাগো নিউজ ডেস্ক জাগো নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮:৫৮ এএম, ০৯ আগস্ট ২০১৯

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) অধ্যয়নরত কাশ্মীরি শিক্ষার্থীরা ভারত সরকারের সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন।

বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) বিকেলে বেশ কয়েকজন কাশ্মীরি শিক্ষার্থী ব্যানার ও ফেস্টুন হাতে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেন। এ সময় কাশ্মীরে সব ধরনের যোগাযোগ ব্যবস্থা চালুর দাবি জানান তারা।

গত রোববার থেকে কাশ্মীরে সামরিক পরিস্থিতি জারি করা হয়েছে। সোমবার সংবিধানের ৩৭০ ধারা বিলোপ করে ভারতের অধীনে থাকা জম্মু-কাশ্মীরকে ভেঙে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করার ঘোষণা দেয় ক্ষমতাসীন বিজেপি। ভারত অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা-সংক্রান্ত ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল হয়ে যাওয়ার পর থেকেই বিশ্বজুড়ে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে। অনেক দেশ ও আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলো কাশ্মীরের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, এখন পর্যন্ত জম্মু-কাশ্মীরের ৩০০ রাজনৈতিক নেতাকে বন্দি করা হয়েছে। আটকদের মধ্যে রয়েছেন রাজ্যের দুই সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি এবং ওমর আবদুল্লাহ।

ভারতের একমাত্র মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ জনপদটির মানুষগুলো আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। কাশ্মীরের সবগুলো রাজনৈতিক, ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক দল ও গোষ্ঠীর জোট হুরিয়াত কনফারেন্সের চেয়ারম্যান মিরওয়াইজ ওমর ফারুককে কয়েক ঘণ্টার জন্য গ্রেফতার করা হলেও পরবর্তীতে তাকে গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছে।

সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের আগে রোববার সন্ধ্যা থেকেই কাশ্মীরে টেলিফোন, মোবাইল এবং ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়। বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ভারতশাসিত কাশ্মীরের রাজধানী শ্রীনগর এখন ক্রোধে ফেটে পড়েছে।

কাশ্মীরে ভেতরেও কেউ কারো সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না। তারা একেবারেই বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন। সবমিলিয়েই পরিস্থিতি চরম সংকট তৈরি করেছে। ফলে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে।

এমএসএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।