ফি দিতে আর লাইনে দাঁড়াতে হবে না ঢাবি শিক্ষার্থীদের
আগামী মাস (সেপ্টেম্বর) থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীদের আর ব্যাংকের সামনে দীর্ঘলাইন ধরে অপেক্ষা করে টাকা জমা কিংবা ফরম পূরণ করতে হবে না বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেলের পরিচালক অধ্যাপক আসিফ হোসেন খান।
তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা এখন থেকে অনলাইনে এসব কাজ করতে পারবে। যাতে করে তাদের সময় এবং শ্রম দুটি বাঁচবে।
মঙ্গলবার ডাকসুর সভাকক্ষে ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার ফলাফল ও পাঠের বিষয়বস্তু ডিজিটাইলেজশন’ বিষয়ক এক গোলটেবিল বৈঠকে এ তথ্য জানান তিনি।
ইউএসএআইডি, ইউকেএইড-এর যৌথ অর্থায়নে ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশন্যাল-এর আয়োজনে এ গোল টেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ডাকসুর কমনরুম ও ক্যাফেটেরিয়া বিষয়ক সম্পাদক বিএম লিপি আক্তার ও ডাকসুতে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী (পরাজিত) কানেতা ইয়া লাম-লাম যৌথভাবে এটি পরিচালনা করেন।
তারা বর্তমানে একইসাথে ইউএসএআইডি ও ইউকেএইডের অর্থায়নে পরিচালিত ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের Strengthening Political Landscape (SPL) প্রকল্পের আওতায় Young Leaders Fellowship Program কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইউকেএইড-এর বাংলাদেশ প্রধান কেটি ক্রোপ, ডাকসুর এজিএস সাদ্দাম হোসেন, ডাকসুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আরিফ ইবনে আলী প্রমুখ।
অধ্যাপক আসিফ হোসেন খান বলেন, সবকিছুর জন্য কিছু সময় লাগে। সেই সময়টুকু আমাদের দিতে হবে। ডাকসু নির্বাচন কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের ডাটাবেজ তৈরি করেছি। শিক্ষকদের তালিকাও তৈরি করা হয়েছে। সবকিছু একটা প্রসেসিংয়ের মধ্যে রয়েছে।
এই বৈঠকে, শিক্ষার্থীরা তথ্য ও প্রযুক্তির যুগে শিক্ষা ব্যবস্থায় তথ্য ও প্রযুক্তির ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরার পাশাপাশি বিশ্বায়নের পথে এগিয়ে যেতে এবং উন্নত বিশ্বের শিক্ষা ব্যবস্থার সব সুযোগ সুবিধা পাওয়ার লক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিজিটালাইজেশন প্রক্রিয়া অতি দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানান। যাতে তারা তাদের গবেষণার ক্ষেত্র আরও উন্মোচিত করতে পারেন।
তারা আরও বলেন, আধুনিক শিক্ষা মনোবিজ্ঞানের মতে প্রত্যেক শিক্ষার্থী ‘মাল্টিপল ইন্টেলিজেন্স’ অর্থাৎ প্রত্যেকের তার ব্যক্তিগত উৎসাহ ও প্রতিভা অনুযায়ী জ্ঞান অর্জন করবে।
তারা অভিযোগ করে বলেন, দক্ষতা বৃদ্ধি ও শিখন এর পরিবর্তে তারা নম্বর অথবা সিজিপিএ প্রাপ্তিকে জীবনের ব্রত হিসেবে ধরে নেয় যা শিক্ষার প্রকৃত উদ্দেশ্য সাধনের পথে অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়। পরীক্ষার ফলাফল প্রত্যেকের ব্যক্তিগত ব্যাপার। সনাতন পদ্ধতিতে নোটিশ বোর্ডে ফলাফল প্রকাশ করার কারণে তাদের ব্যক্তিগত তথ্য অনিরাপদ থাকে যা পরবর্তীতে হীনমন্যতা তৈরি করে।
এমএইচ/জেএইচ/জেআইএম