রাবিতে ভর্তি ফরমের মূল্য কমানোর দাবি ছাত্রদলের

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
প্রকাশিত: ১১:৫১ এএম, ২৬ জুলাই ২০১৯

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক ভর্তি পরীক্ষার আবেদন ফি কমানোর দাবি জানিয়ে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতাকর্মীরা। বৃহস্পতিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও ছাত্র উপদেষ্টা বরাবর অনুলিপি দেয়া হয়।

উল্লেখ করা হয়, রাবির ভর্তি পরীক্ষার আবেদন ফরমের মূল্য তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ৫৫ টাকা এবং চূড়ান্তভাবে ১৯৮০ টাকা করা হয়েছে, যা একজন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের জন্য অনেক বেশি। ফলে অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী ভর্তি কার্যক্রমে নিরুৎসাহিত হয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

আরো বলা হয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত প্রায় ৮০ শতাংশ শিক্ষার্থী অস্বচ্ছল, গরিব পরিবারের সন্তান। অধিকাংশ শিক্ষার্থীরা কৃষক, শ্রমিক অথবা দিনমজুর পরিবার থেকে মেধার প্রমাণ দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছে। আমরা চাই এই আবেদন ফরমের মূল্য কমিয়ে আনা হোক।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ছাত্রদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শফিক, সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক আহসান হাবীব, সদস্য এসএম মাহমুদুল হাসান, শামস দীপ্ত, এস ওয়াজেদ, এমএ তাহের, ওবাইদুল্লাহ, জাকির প্রমুখ

ভর্তি পরীক্ষা কীভাবে হবে

তিনটি ইউনিটে দুটি করে শিফটে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ‘এ’ ইউনিটে রয়েছে কলা, আইন, সামাজিক বিজ্ঞান, চারুকলা অনুষদ এবং শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট; ‘বি’ ইউনিটে বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ এবং ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউট; ‘সি’ ইউনিটে বিজ্ঞান, জীব ও ভূবিজ্ঞান, কৃষি এবং প্রকৌশল অনুষদ। এএইচএসসি পরীক্ষায় মানবিক শাখা থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা শুধু ‘এ’ ইউনিটে, বাণিজ্য শাখা থেকে উত্তীর্ণরা শুধু ‘বি’ ইউনিটে এবং বিজ্ঞান শাখা থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা শুধু ‘সি’ ইউনিটে আবেদনের সুযোগ পাবেন।

ভর্তি পরীক্ষায় আবেদনের জন্য মানবিক শাখা থেকে উত্তীর্ণদের ন্যূনতম তিনসহ মোট জিপিএ ৭.০০, বাণিজ্য শাখা থেকে উত্তীর্ণদের ন্যূনতম ৩.৫০ সহ মোট জিপিএ ৭.৫০ এবং বিজ্ঞান শাখা থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের ন্যূনতম ৩.৫০ সহ মোট জিপিএ ৮.০০ থাকতে হবে।

পরীক্ষা পদ্ধতিতে পরিবর্তন

এ বছর ১০০ নম্বরের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে ভর্তি-ইচ্ছুকদের। এর মধ্যে রয়েছে ৬০ নম্বরের এমসিকিউ এবং ৪০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা। পরীক্ষার্থীরা ৬০ নম্বরের এমসিকিউর জন্য ৫০ মিনিট এবং ৪০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষার জন্য ৪০ মিনিট সময় পাবেন। লিখিত পরীক্ষায় সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর ধরনের ২০টি প্রশ্ন থাকবে।

এমসিকিউ পরীক্ষার মেধাক্রমের ফলাফলের ভিত্তিতে প্রতিটি ইউনিটের আসন সংখ্যার ১০ গুণ পরীক্ষার্থীর লিখিত পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ন করা হবে। এই পরীক্ষার্থীদের এমসিকিউ ও লিখিত পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের যোগফলের ভিত্তিতে চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করা হবে। চূড়ান্ত ফলাফলের মেধাক্রম অনুসারে পরীক্ষার্থীরা ভর্তির সুযোগ পাবেন।

সালমান শাকিল/এমআরএম/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।