অনিয়ম-অব্যবস্থাপনায় শেষ হলো জবি ছাত্রলীগের সম্মেলন

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
প্রকাশিত: ০৮:১৯ এএম, ২১ জুলাই ২০১৯

নানা অনিয়ম ও অব্যস্থাপনায় শেষ হয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ছাত্রলীগের দ্বিতীয় সম্মেলন। সম্মেলন মঞ্চের সামনে ‘সিন্ডিকেট মানি না’ সহ নানা আপত্তিকর স্লোগানের সময় সাধারণ সম্পাদক বক্তব্য দিতে গিয়েও রাগ করে মঞ্চে বসে পড়েন।

‘চাইলে শিক্ষার উন্নয়ন, শেখ হাসিনার প্রয়োজন’ স্লোগানকে সামনে রেখে শনিবার (২০ জুলাই) বিকেল ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদ চত্বরে অনুষ্ঠিত হয় সম্মেলন। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

যদিও সম্মেলন শুরুর কথা ছিল বেলা ১১টায় কিন্তু কেন্দ্রীয় সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী নির্ধারিত সময়ের প্রায় সাড়ে ৪ ঘণ্টা এবং প্রধান অতিথি আসার ৩ ঘণ্টা পর সম্মেলনস্থলে আসেন।

JNU-2.jpg

প্রধান অতিথি আসাদুজ্জামান খান কামাল বক্তব্যের শুরুতে বলেন, আমিতো সময়মতো এসেছিলাম। কিন্তু শোভন-রাব্বানী দেরি করেছে। পরে তিনি সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন, ‘২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করার লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে। এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য ছাত্রলীগকে সরকারের সঙ্গে একত্রিত হয়ে কাজ করতে হবে। যারা নেতা সিলেকশন করবেন তারা যেন দক্ষ, উপযুক্ত, মেধাবী ও ছাত্রবান্ধব নেতা সিলেক্ট করেন। নেতা হবে দুইজন, যারা নেতা হতে পারবে না তারা যেন নেতাদের পাশে থেকে দেশ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নের কাজে সহায়তা করে।’

সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক আশরাফুল ইসলাম টিটন এবং উদ্ধোধন করেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন।

সকাল থেকেই নেতাকর্মীরা বিভিন্ন রঙের টি-শার্ট পরে ক্যাম্পাসে স্লোগান দিতে থাকেন। সম্ভাব্য প্রার্থীরা ভাড়া করা লোক নিয়ে এসে শোডাউন দেয়। অনেক স্কুলপড়ুয়া ছাত্রদের এসব টি শার্ট পরে মিছিল শোডাউনে অংশ নিতে দেখা যায়। বহিরাগতরা প্রশাসনিক ভবনের ভেতরে ঢুকে বিভিন্ন প্রার্থীদের নামে স্লোগান দিতে থাকেন।

JNU-2.jpg

সম্মেলনে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য প্রদানের জন্য বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী মঞ্চে উঠলে মঞ্চের সামনে থাকা কর্মীরা ‘সিন্ডিকেটের কালো হাত ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও’ বলে স্লোগান দিতে থাকেন। স্লোগান বন্ধ করতে বললেও বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি আল আমিন শেখের নেতৃত্বে স্লোগান চলতে থাকে। পরে সাংসদ নজরুল ইসলাম বাবুর হস্তক্ষেপে স্লোগান বন্ধ হয়। এ সময় গোলাম রাব্বানী বক্তব্য না দিয়ে মঞ্চের চেয়ারে বসে পড়েন।

সম্মেলনকে ঘিরে কঠোর নিরাপত্তার জন্য সতর্ক অবস্থান নিয়েছে পুলিশ বাহিনী। এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার সহকারী পুলিশ কমিশনার সাইফূল আলম মুজাহিদ বলেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সম্মেলনকে ঘিরে আমরা অতিরিক্ত ফোর্স সংযুক্ত করেছি। ক্যাম্পাসে যাতে কোনো প্রকার বিশৃঙ্খলা না ঘটে সেদিকে আমাদের কড়া নজর আছে। আমরা সতর্ক অবস্থানে আছি।’

উল্লেখ্য, প্রেমঘটিত বিষয়ে সংঘর্ষের জেরে তরিকুল-রাসেল কমিটি ১৯ ফেব্রুয়ারি কমিটি বিলুপ্ত করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। কমিটি বিলুপ্তির প্রায় ৬ মাস পরে সম্মেলন হচ্ছে।

ইমরান খান/এসআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।