ভাঙা হচ্ছে টিএসসির দেয়াল!

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
প্রকাশিত: ০৮:২৩ পিএম, ২০ জুলাই ২০১৯

মেট্রোরেলের কাজের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) সীমানা প্রাচীর ভাঙতে টিন দিয়ে নতুন প্রাচীর তৈরি করেছে কনস্ট্রাকশন কোম্পানি। কিন্তু শিক্ষার্থীরা টিনের তৈরি সীমানা প্রাচীর ভেঙে দিয়েছেন।

শনিবার (২০ জুলাই) বিকেলে তারা এ প্রাচীর ভেঙে দেন। শিক্ষার্থীরা জানান, ক্যাম্পাসে মেট্রোরেলের কোনো ধরনের স্টেশন তারা চান না। এ জন্য টিএসসির সীমানা প্রাচীর ভাঙার যে পরিকল্পনা করা হচ্ছে তা কখনো বাস্তবায়ন করতে দেয়া হবে না।

তারা বলেন, টিএসসি ঐতিহ্যের অংশ। এর সীমানা প্রাচীর ভেঙে মেট্রোরেলের কাজ কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না।

এদিকে ক্যাম্পাসে মেট্রোরেলের স্টেশন না বসানোর দাবি জানিয়ে মানববন্ধন করেছেন শিক্ষার্থীরা। শনিবার বিশ্ববিদ্যালয় রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে তারা এ মানববন্ধন করেন। এ সময় তারা টিএসসির দেয়াল ভাঙারও প্রতিবাদ জানান। শিক্ষার্থীদের সমর্থন জানিয়ে মানববন্ধনে অংশ নেন ডাকসু সদস্য মাহমুদুল হাসান ও তানভীর হাসান সৈকত ৷

মানববন্ধনে অর্থনীতি বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী আফিয়া জাহান সুস্মিতা বলেন, ‘ক্যাম্পাসের ভেতর দিয়ে মেট্রোরেল নিয়ে যাচ্ছে। এটা নিয়ে প্রথম দিকে আন্দোলন করেছি। কিন্তু এখন ক্যাম্পাসে যদি মেট্রোরেলের স্টেশন বসানো হয়, তাহলে পুরো ঢাকা শহরের মানুষ এখানে নামবে। তখন ক্যাম্পাস গুলিস্তানে পরিণত হবে। আমরা চাই না যে প্রিয় ক্যাম্পাস গুলিস্তানে পরিণত হোক।’

ডাকসুর সদস্য তানভীর হাসান সৈকত বলেন, ‘ক্যাম্পাসের ভেতর দিয়ে মেট্রোরেল মেনে নিলেও স্টেশন বসানোর সিদ্ধান্ত কোনোভাবেই মানবো না। শাহবাগে স্টেশন হলে টিএসসিতে স্টেশন নির্মাণের কোনো প্রয়োজন নেই। শিক্ষার্থীদের স্বার্থে স্টেশন বসানোর সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রব্বানী বলেন, ‘মেট্রোরেলের কাজ চলছে। এ মর্মে আমরা অবহিত হয়েছি। এটা মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ দেখছে।’

শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের কোনো মতামত থাকলে অবশ্যই বলবে। কিন্তু সাংঘর্ষিক অবস্থান আমরা পরিহার করবো ৷ এ বিষয়ে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষকে বার্তা দেয়া হয়েছে।’

এমএইচ/এএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।