রাবিতে নিয়ন্ত্রণে আসেনি বেপরোয়া যান চলাচল

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক রাবি
প্রকাশিত: ০৫:৫৫ পিএম, ১৮ জুলাই ২০১৯

দিন দিন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আতঙ্কের কারণ হয়ে উঠছে বেপরোয়া গতির যানবাহন। নিজেদের নিরাপত্তায় তাই দ্রুতই ক্যাম্পাসের ভেতরে বেপরোয়া যান চলাচলের নিয়ন্ত্রণ চান শিক্ষার্থীরা। কিন্তু বারবার অভিযান চালিয়েও বহিরাগত ও বেপরোয়া গতির যানবাহন নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে এ বিষয়ে বিশেষ নজরদারি করা হচ্ছে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ বলেন, কাম্পাসে বেপরোয়া গাড়ি চালানোর ফলে যেকোনো সময় ঘটে যেতে পারে মারাত্মক দুর্ঘটনা। কাম্পাসে এ ধরনের বেপরোয়া গাড়ি চালকদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির দাবি জানান তিনি।

ভূগোল ও পরিবেশ বিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী রনি আয়োন বলেন, সড়ক দুর্ঘটনা আমাদের দেশে একটা সামাজিক ব্যাধি হয়ে দাঁড়িয়েছে। কাম্পাসে বিশেষ করে মেইন গেট ও কাজলা গেটে চলাচলে ঝুঁকি থাকে বেশি। পারাপারের সময় ঘটে যেতে পারে দুর্ঘটনা। আজকেই মেইন গেটে ঢোকার সময় দুর্ঘটনার শিকার হতে যাচ্ছিলেন বলে দাবি করেন তিনি।

RU-Jan

রাষ্টবিজ্ঞান বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী রিমন আহমেদ বলেন, কাম্পাসে অধিকাংশ মোটরসাইকেল চালক বহিরাগত। তারা যেভাবে গাড়ি চালায় তাতে যেকোনো সময় ঘটে যেতে পারে মারাত্মক দুর্ঘটনা। এছাড়াও বিভিন্ন হলে থাকা ছাত্রদেরও বেপরোয়াভাবে মোটরসাইকেল চলাতে দেখা যায়।

সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থী সায়েল আলী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে চলাচলের জন্য যাতায়াত ব্যবস্থা নিরাপদ করা জরুরি। যেকোনো সময় দুর্ঘটনা কেড়ে নিতে পারে একজন শিক্ষার্থীর প্রাণ। কাম্পাসে নির্ভয়ে চলাচলের জন্য নীতিমালা করা দরকার। নীতিমালায় যান চলাচলের নির্দিষ্ট গতিসীমা বেঁধে দিতে হবে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রক্টর অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, বেপরোয়া যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। দু-একদিনের মধ্যে প্রক্টরিয়াল বডি আবারও বসবে। সমস্যা সমাধানে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সালমান শাকিল/এমবিআর/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।