দুই ঘণ্টার ভোগান্তি শেষে নীলক্ষেত অবরোধমুক্ত

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০২:৫৬ পিএম, ১৬ জুলাই ২০১৯

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে দুই ঘণ্টার চরম ভোগান্তির পর নীলক্ষেত মোড় অবরোধমুক্ত হয়েছে। শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি আদায়ে সকাল সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত রাস্তা অবরোধ করে নানা স্লোগানে চারদিক মুখরিত করে রাখে। দুপুর দেড়টার কিছু সময় আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দাবি-দাওয়া পূরণের ব্যাপারে আলোচনায় বসবেন- এ শর্তে আপাতত অবরোধ কর্মসূচি স্থগিত করে রাস্তায় যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেয়।

শিক্ষার্থীদের রাস্তা অবরোধের এ কর্মসূচির ফলে আজিমপুর ও সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড় থেকে ছেড়ে আসা কয়েকশ বাস, মাইক্রোবাস, জিপ, প্রাইভেটকার, অ্যাম্বুলেন্স ও মোটরসাইকেল রাস্তায় আটকা পড়ে। প্রচণ্ড গরমের মধ্যে টানা দুই ঘণ্টা একই স্থানে আটকে থাকায় অনেকেই তীব্র ক্ষোভ ও প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।

রাজধানীর জিগাতলার বাসিন্দা আব্দুল্লাহ জানান, তার এক অসুস্থ আত্মীয়কে নিয়ে অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাচ্ছিলেন। টিচার্স ট্রেনিং কলেজের সামনে এসে অ্যাম্বুলেন্স আটকা পড়ে। মুহূর্তের মধ্যে আগে-পিছে এত গাড়ি আটকে পড়ে যে অসুস্থ রোগী নিয়ে যাওয়ার তার কোনো উপায় নেই। নিরূপায় হয়ে তিনি গাড়িতেই বসে থাকেন।

স্কুল ছুটির পর ছেলেকে নিয়ে মোটরসাইকেলে আজিমপুর ফেরার পথে বলাকা সিনেমা হলের সামনে আটকা পড়েন রেজওয়ানুর রহমান। গরমে ওই শিশু দর দর করে ঘামছিল।

seven

রেজওয়ানুর রহমান ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা কয়েকদিন পরপর আন্দোলনে নামে আর সাধারণ মানুষের ভোগান্তি হয়। তাদের দাবি ন্যায্য হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেনে নেয়া উচিত। এভাবে সাধারণ মানুষকে কষ্ট দেয়ার কোনো মানে হয় না।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ভালো পরীক্ষা দিয়েও স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস বিষয়ে গণহারে ফেল করেছেন তারা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী, কোনো শিক্ষার্থী সিজিপিএ-২ এর কম পেলে পরবর্তী বর্ষে তাকে উত্তীর্ণ করানো হয় না। আগে এ বিষয়ে কোনো নোটিশ না দিয়েই নতুন নিয়ম কার্যকর করা হচ্ছে। এতে বিপাকে পড়েছেন তারা। এই নিয়ম কার্যকরের ফলে অনেক শিক্ষার্থী দ্বিতীয় বর্ষে উত্তীর্ণ হতে পারছেন না।

সরকারি সাত কলেজের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, ‘২০১৮ সালের ডিসেম্বরে আমাদের পরীক্ষা শেষ হলেও ফলাফল প্রকাশিত হয় চলতি বছরের ১৫ জুলাই। আবার এই ফলাফলে আমাদের গণহারে ফেল করানো হয়েছে। সিজিপিএ-২ এর কম পেলে আমাদের মানোন্নয়ন পরীক্ষা দেয়ার কোনো সুযোগ নেই। আমরা এই নিয়ম চাই না।’

দুপুর পৌনে ২টায় ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, স্বাভাবিকভাবে যানবাহন চলাচল করছে।

এমইউ/বিএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।