শিক্ষা ছাড়া লিঙ্গ বৈষম্য নিরসন সম্ভব নয়
সমাজের লিঙ্গ বৈষম্য নিরসনে নারী-পুরুষদের স্ব স্ব অবস্থান থেকে কাজ করতে হবে। শিক্ষা ছাড়া এ বৈষম্য নিরসন সম্ভব নয়। তাই সমাজের সকল স্তরে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে হবে।
শনিবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে অধ্যাপক বশিরা মান্নান ট্রাস্ট ফান্ডের উদ্যোগে “অধ্যাপক বশিরা মান্নান স্মারক বক্তৃতা” অনুষ্ঠিনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি)উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক এসব কথা বলেন।
উপাচার্য বলেন, মানব সভ্যতার উন্নয়নে নারী-পুরুষের সমান অবদান। সমাজে তাদের সমঅধিকারও নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ত্বাধীন বর্তমান সরকার নারীর ক্ষমতায়নে অনন্য ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। সরকারের নানামুখী উদ্যোগের কারণেই বাংলাদেশ এক্ষেত্রে অগ্রগতি লাভ করেছে। দেশের নারীরা মেধা ও যোগ্যতা দিয়েই এগিয়ে যাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ‘খাদ্য ও পুষ্টিতে নারী’ শীর্ষক ২০১৪ সালের স্মারক বক্তৃতা প্রদান করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. নাজমা শাহীন। এছাড়া, “নারীর ক্ষমতায়ন: সরকারের উদ্যোগ” শীর্ষক ২০১৫ সালের স্মারক বক্তৃতা প্রদান করেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাছিমা বেগম এনডিসি। ট্রাস্ট ফান্ডের দাতা রাষ্ট্রদূত মসউদ মান্নান স্বাগত বক্তব্য দেন। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. এ এস এম আতীকুর রহমান। ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার সৈয়দ রেজাউর রহমান অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন।
উল্লেখ্য, অধ্যাপক বশিরা মান্নান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষক ছিলেন। রাষ্ট্রদূত মসউদ মান্নান মায়ের স্মৃতি রক্ষার্থে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘অধ্যাপক বশিরা মান্নান ট্রাস্ট ফান্ড’ গঠন করেন।
এমএইচ/এএইচ/আরআইপি