নিরাপত্তা না পেলে কিসের মাস্টারপ্ল্যান?
‘প্রশাসন হাজার কোটি টাকার মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়ন করছে বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নের জন্য। এই উন্নয়ন কাদের জন্য? আমরা ৩৭ হাজার শিক্ষার্থী যদি নিরাপত্তা না পাই, ছিনতাইয়ে শিকার ও ছুরিকাহত হতে হয় তাহলে কেন সে তথাকথিত মাস্টারপ্ল্যান?’
সহপাঠীকে ছুরিকাঘাত করে ছিনতাইয়ের প্রতিবাদে ক্ষোভ প্রকাশ করে এমনটিই বলছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
মনববন্ধন চলাকালে সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা ৬৪ জেলা থেকে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছি। আজ প্রশাসন হাজার কোটি টাকার মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়ন করছে বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নের জন্য। এই উন্নয়ন কাদের জন্য? প্রশ্ন রাখতে চাই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে। আমরা ৩৭ হাজার শিক্ষার্থী যদি নিরাপত্তা না পাই, কেন সে তথাকথিত মাস্টারপ্ল্যান? আজ সাইদুর (ছিনতাইয়ের শিকার রাবি শিক্ষার্থী) কাল অন্য কেউ। আমাদের কেউ এখানে নিরাপদ নয়।
তারা আরও বলেন, যারা ভিআইপি তাদের জন্য এখানে সিসিটিভি ক্যামেরার ব্যবস্থা আছে কিন্তু সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য নেই কেন? আসলে প্রশাসন জেগে জেগে ঘুমাচ্ছে। তারা দেখেও না দেখার ভান করছে। তারা যদি জেগে জেগে ঘুমায় তাহলে তাদের আমরা কীভাবে জাগ্রত করব।
এ সময় শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কর্মচারীরা ফেনসিডিলসহ ধরা পড়ে। আবার সেই কর্মচারীরাই পরের দিন আমাদের সামনে ঘুরে বেড়ায়। সে ক্যাম্পাসে আমরা নিরাপত্তা পাবো কীভাবে?
লোকপ্রশাসন বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী মাহাবুবুল আলমের সঞ্চালনায় এ সময় বক্তব্য রাখেন ফলিত রসায়ন ও রসায়ন প্রকৌশল বিভাগের রাজিউর রহমান রাজু, ইনফরমেশন সাইন্স অ্যান্ড লাইব্রেরি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী ফজলে রাব্বী, ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান রাজিব, রিপন ইসলাম, মিটুন সরকার, ৩য় বর্ষের মাজহারুল ইসলাম, আরবি বিভাগের ৩য় বর্ষের মোস্তাফিজুর রহমান, দর্শন বিভাগের তাকবীর হোসেন প্রমুখ।
উল্লেখ্য, রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাদারবক্স হলের পাশে লাইব্রেরি সায়েন্স ও ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী সাইদুর রহমানকে ছুরিকাঘাত করে তার কাছ থেকে মোবাইল ফোন ও নগদ টাকাসহ মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেয় দুর্বৃত্তরা।
সালমান শাকিল/এমবিআর/এমকেএইচ