ছাত্রকে ‘মারধর করলেন’ রাবি শিক্ষক
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্রলীগের এক কর্মীকে মারধরের অভিযোগে শিক্ষককে অবরুদ্ধ করে রাখার ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্র ভবনের আইন বিভাগে এমন ঘটনা ঘটেছে।
এ সময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ওই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. এনামুল জহিরকে তার চেম্বারে অবরুদ্ধ করে রাখে এবং দরজায় তালা ঝুলিয়ে দেন। তারা ওই শিক্ষকের বিচার দাবি করেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের উপস্থিতিতে বিক্ষোভকারীরা তালা খুলে দেন।
ড. এনামুল জহিরের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ এনেছেন মৃৎশিল্প ও ভাস্কর্য বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী সুপ্ত সাহা অনিক। জানা গেছে তিনি রাবি ছাত্রলীগের কর্মী।
সুপ্ত সাহার অভিযোগ, বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে সুপ্ত তার বান্ধবীকে নিয়ে ক্যাম্পাসে ঘুরতে বের হন। পুরাতন ফোকলোর চত্বর পুকুর পাড়ে এলে ড. এনামুল তাদেরকে ডাক দেন। এ সময় তিনি মেয়েটিকে কটুক্তি করে কথা বলেন। সুপ্ত প্রতিবাদ করায় ড. এনামুল তাকে কিলঘুষি মেরে চলে যেতে বলেন।
পরে তিনি সৈয়দ ইসমাঈল হোসেন সিরাজী ভবনের সামনে আবারও তাদের পথরোধ এবং সুপ্তকে মারধর করেন। এরই প্রেক্ষিতে ওই শিক্ষককে তার চেম্বারে অবরুদ্ধ করে তালা ঝুলিয়ে দেয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
বিক্ষুব্ধ ছাত্রলীগ কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিকেল ৫টার দিকে সুপ্ত বন্ধুদেরকে নিয়ে শিক্ষক এনামুলের চেম্বারে আসলে তিনি তাদেরকে অপমান করে বের করে দেন। কিছুক্ষণ পর অর্ধশতাধিক ছাত্রলীগ নেতাকর্মী জড়ো হয়ে তার চেম্বারে তালা ঝুলিয়ে সেখানে অবস্থান নেন। এ সময় তারা মেয়েটিকে কটুক্তি ও শিক্ষার্থীকে মারধরের প্রতিবাদে শ্লোগান দিতে থাকেন।
ঘণ্টাখানেক পর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি ও ছাত্রলীগের কয়েক জন নেতা ঘটনাস্থলে আসেন। পরে প্রক্টরিয়াল বডি বিষয়টি দেখবেন বলে আশ্বাস দিলে বিক্ষোভকারীরা চেম্বারের তালা খুলে দেন।
এ বিষয়ে শিক্ষক এনামুলের সঙ্গে কথা বলতে গেলে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো কথা বলবেন না বলে জানান।
প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান বলেন, ‘আমি সুপ্তকে লিখিত অভিযোগ দিতে বলেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে আমরা এ বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেব।’
সালমান শাকিল/এমএমজেড/জেআইএম