সাড়ে ৫ ঘণ্টাতেও সরেনি পলাশীর ব্যারিকেড

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০১:২০ পিএম, ১০ জুলাই ২০১৯

‘দুই দিন পর পর রাস্তা বন্ধ করে বসে থাকে। আজ সকালে রাস্তা বন্ধ কেন করেছে জিজ্ঞাসা করতেই অল্প বয়সী কয়েকটি ছেলে চোখ গরম করে বলে ওঠে, হলের সামনের এই রাস্তায় কোনো যানবাহন চলবে না। অন্য রাস্তা ঘুরে যান। এটা নাকি হল সংসদ নেতাদের নির্দেশ।’

বুধবার বেলা ১১টায় আজিমপুরের অদূরে পলাশী মোড়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রবেশমুখে ব্যারিকেড দেখে কয়েকজন শিক্ষার্থীর সাথে কথোপকথন শেষে অন্য পথ দিয়ে মতিঝিল যাচ্ছিলেন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা মোজাম্মেল হোসেন। এ সময় জাগো নিউজের এই প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

শিক্ষার্থীরা সকাল ৭টায় ব্যারিকেড বসায়। কিন্তু বেলা সাড়ে ১১টাও পরও তারা ব্যারিকেড সরায়নি। বেলা গড়ানোর সাঙ্গে সঙ্গে এ রাস্তায় যানবাহনের সংখ্যা বাড়তে থাকে। ব্যারিকেড থাকায় সব গাড়িকে বিকল্প পথ ঘুরে যেতে হচ্ছে। রাস্তাটি বন্ধ থাকায় রাজধানীর নীলক্ষেত ও বকশিবাজার মোড়ের রাস্তায় যানবাহনের চাপ বাড়ে ও তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এ রাস্তা বন্ধ থাকায় পলাশী মোড়ের কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশরা ‘রিলাক্স মুডে’ ডিউটি করতে দেখা যায়।

Baricade.jpg

হঠাৎ করে বিনা নোটিশে ব্যস্ততম এ রাস্তাটি বন্ধ করে সাধারণ মানুষকে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায়। বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ভেতরের উদয়ন ও ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটি স্কুলের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের গাড়ি পলাশীতে রেখে হেঁটে সন্তানদের নিয়ে আসতে হয়।

পলাশী মোড়ে অবস্থানরত কয়েকজন শিক্ষার্থী জানায়, এ রাস্তায় কোনো যানবাহন চলাচল করতে দেয়া হবে না। এ সিদ্ধান্ত হল সংসদের নেতাদের। ঢাবিতে প্রবেশের অন্যান্য গেট খোলা রয়েছে। এ ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তারা সমস্বরে বলে ওঠে, ‘কোন গেট খোলা তা আমাদের জানার দরকার নেই। এ রাস্তায় যানবাহন চলবে না, এটাই ফাইনাল।’

এমইউ/এমএসএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।