জবির গ্যাস লাইন ছিদ্র, বড় দুর্ঘটনার সম্ভাবনা

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) প্রধান প্রশাসনিক ভবন ও অবকাশ ভবনের পাশেই গ্যাসের পাইপলাইন ছিদ্র হয়ে অনবরত বের হচ্ছে প্রাকৃতিক গ্যাস। ফলে যেকোনো সময় দাহ্য পদার্থের সংস্পর্শে এখানে ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের কোনো দুর্ঘটনা। কয়েকজন শিক্ষার্থী এবং নিরাপত্তারক্ষীরা প্রকৌশল দফতরে এ বিষয়ে অভিযোগ জানালেও কাজ হয়নি।

বুধবার সরেজমিনে সকাল থেকেই দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাশ ভবনের পাশেই অবস্থিত এই গ্যাসলাইনের পাইপ থেকে শোঁ শোঁ শব্দ করে বিপুল পরিমাণ গ্যাস নির্গত হচ্ছে। পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় যে কেউ এই শব্দ শুনতে পাচ্ছেন। এই গ্যাসলাইন দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যান্টিনসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সংযোগ স্থাপন করা হয়েছে। গ্যাসলাইনের পাশেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রধান প্রশাসনিক ভবন, প্রগোজ স্কুল ও অবকাশ ভবনসহ বেশ কয়েকটি ভবন রয়েছে।

ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘অবকাশ ভবনের পাশের পাইপলাইন দিয়ে প্রচুর পরিমাণ গ্যাস নির্গত হচ্ছে। এতে করে প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ গ্যাস নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি যেকোনো সময় দুর্ঘটনার সম্ভাবনা রয়েছে। বিষয়টি দেখার পর আমি প্রধান প্রকৌশলীকে অবহিত করেছিলাম। তিনি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত তিনি কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেননি। এখনো সেখান থেকে গ্যাস নির্গত হচ্ছে।’

অবকাশ ভবনের গেটে কর্মরত নিরাপত্তাকর্মী খলিল বলেন, ‘অনেকদিন থেকেই এখান দিয়ে গ্যাস নির্গত হচ্ছে। প্রকৌশল দফতরে এ বিষয়ে বেশ কয়েকবার অভিযোগ জানানোর পর তারা সাময়িক পদক্ষেপ নিয়েছিল। কিন্তু স্থায়ী কোনো পদক্ষেপ তারা নেয়নি।’

এ বিষয়ে জানতে গেলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রধান প্রকৌশলী (চলতি দায়িত্ব) সুকুমার চন্দ্র সাহা তাৎক্ষণিক দু’জন লোক পাঠিয়ে সাময়িক বন্ধের ব্যবস্থা করেন। কিন্তু কয়েক মিনিট পরই আবারো পাইপলাইন থেকে গ্যাস নির্গত হতে দেখা যায়।

ইমরান খান/এসআর/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।