র্যাগিংয়ের অভিযোগে নিটার ৭ শিক্ষার্থী বহিষ্কার
র্যাগিংয়ের নামে নির্যাতনের অভিযোগে সাভারের নয়ারহাট এলাকায় অবস্থিত ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড রিসার্চ (নিটার) এর তৃতীয় ও দ্বিতীয় বর্ষের সাত শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
রোববার বিকেলে প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত এ সম্পর্কিত একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।
বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা গেছে, প্রতিষ্ঠানটির ৬ষ্ঠ সেমিস্টারের শিক্ষার্থী মৃন্ময় বসাককে তিন বছরের জন্য এবং চতুর্থ সেমিস্টারের শিক্ষার্থী আব্দুল হালিম, সালাউদ্দিন আহমেদ, জাহিদ হাসান, রেজাউল কবির, তালাল আল নাহিয়ান ও খন্দকার সাকিব ইবনে রাকিবকে দুই বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অভিযুক্তরা প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন বিভাগের ছাত্রদের ছাত্র হোস্টেলেরে বর্ধিত ভবন-১ এ ডেকে এনে লোহার পাইপ ও রড দিয়ে প্রহার, চড়-থাপ্পড় ও কিল-ঘুষি মেরে মারাত্মকভাবে জখম করে। নির্যাতনের প্রমাণসহ ভুক্তভোগী কয়েকজন ছাত্র ও অভিভাবকদের লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দোষীদের চিহ্নিত করতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটি ওই ঘটনায় দোষীদের চিহ্নিত ও ভবিষ্যতে এ ধরনের অপরাধ বন্ধে কঠোর শাস্তির সুপারিশ করেছে। ২৩ জুন একাডেমিক পর্ষদের জরুরি সভায় উক্ত প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ও শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে অভিযুক্তদের বহিষ্কার করা হলো।
নিটার কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতীত ক্যাম্পাসে প্রবেশ করলে তাদের আজীবন বহিষ্কার করা হবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রতিষ্ঠানটির দ্বিতীয় ও তৃতীয় বর্ষের কয়েকজন শিক্ষার্থীরা জানায়, মিথ্যা অভিযোগে তাদের প্রতিষ্ঠানের সাত শিক্ষার্থীকে অন্যায়ভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। শিক্ষকরা কেবল নিজেদের স্বেচ্ছাচারিতায় শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে এমন কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এ ব্যাপারে প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
আল-মামুন/এমবিআর/পিআর