বুয়েটে ১৬ দাবিতে লাগাতার আন্দোলন

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:১৩ পিএম, ১৮ জুন ২০১৯

১৬ দফা দাবি আদায়ে আন্দোলনে নেমেছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থীরা। আজ (মঙ্গলবার) চতুর্থ দিনের মতো ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করে চলছে এ আন্দোলন। ক্যাম্পাসের মূল ফটকের সামনে সড়কের ওপর শতাধিক শিক্ষার্থী দাবি আদায়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।

‘হই হই রই রই, ভিসি স্যার গেল কই’; ‘আর নয় ছাত্রী হল, এখন থেকে সনি হল’, ‘প্রশাসনের কালো হাত ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও’; ‘আমার দাবি, তোমার দাবি, ১৬ দফা বাস্তবায়ন’; ‘বুয়েট গেট কেন নাই, প্রশাসন জবাব চাই’- এমন স্লোগান লেখা ফেস্টুন হাতে দাবি আদায়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত আন্দোলনে অংশ নিচ্ছেন তারা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।

Buet-1

শিক্ষার্থীদের ১৬ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে- পলাশিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রবেশমুখে গেট নির্মাণ, বিতর্কিত প্রক্রিয়ায় শিক্ষক নিয়োগ বাতিল, নিয়মিত শিক্ষক মূল্যায়নের ব্যবস্থা, শিক্ষার্থীদের সব লেনদেন ডিজিটাল করা, গবেষণায় বরাদ্দ বৃদ্ধি, টার্ম পরীক্ষায় কোডিং সিস্টেম চালু, ছাত্রী হলকে সনি হল নামকরণ ইত্যাদি।

Buet-1

শিক্ষার্থীরা জানান, তারা ১৬ দফা দাবিতে চারদিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। বিভিন্ন সময় এসব দাবি নিয়ে আন্দোলন করলেও প্রশাসন তাদের বারবার আশ্বাস দিয়েছে, কিন্তু আজ পর্যন্ত বাস্তবায়ন করেনি। এ কারণে তারা আবারও আন্দোলনে নামতে বাধ্য হয়েছেন। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।

আন্দোলনের আহ্বায়ক বুয়েট মেকানিক্যাল বিভাগ শেষ বর্ষের ছাত্র হাসান সরোয়ার সৈকত জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমরা দাবি-দাওয়া নিয়ে ভিসি স্যারের সঙ্গে অনেকবার সাক্ষাৎ করার চেষ্টা করেছি, কিন্তু তিনি সাড়া দেননি। প্রশাসনিক ভবনে তালা লাগিয়ে চারদিন ধরে তিনি অনুপস্থিত। বিভিন্ন সময় এসব দাবিতে আমরা স্যারদের কাছে দাবি জানালেও বারবার আশ্বাস দেয়া হয়েছে, কিন্তু বাস্তবায়ন হয়নি।’

Buet-1

তিনি বলেন, শুধু আশ্বাসে নয়, যৌক্তিক দাবি বাস্তবায়নে আমরা ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করে চারদিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি। আমাদের দাবি নিয়ে প্রশাসনের সঙ্গে বারবার সাক্ষাতের চেষ্টা করেছি। বুয়েটের সব স্তরের শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে সমর্থন দিয়ে যুক্ত হয়েছেন। শান্তিপূর্ণভাবে লাগাতার আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। পাশাপাশি প্রশাসনের সঙ্গে দাবি নিয়ে আলোচনার চেষ্টাও চালিয়ে যাওয়া হবে।

এমএইচএম/এমএমজেড/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।