কৃষক মরে অনাহারে সরকার কি করে?
‘কৃষকের শ্রমের ন্যায্যমূল্য চাই’ স্লোগানে ধানের ন্যায্যমূল্যের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
রোববার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।
মানববন্ধনে, ‘কৃষক মরে অনাহারে সরকার কি করে, ‘কার্ড সিস্টেম বন্ধ হোক, ধান বিক্রির সমান সুযোগ হোক, ‘কৃষক বাঁচলে বাঁচবে দেশ, গড়বে সোনার বাংলাদেশ, ‘কৃষিনির্ভর অর্থনীতি, কৃষকের কেন দুর্গতি, ‘ধান রাখার পর্যাপ্ত গুদাম নেই এ কেমন বক্তব্য?, ‘রাঁধুনির বেতন ৮০ হাজার, চালকের ৯২ হাজার, কৃষকের ধানের মূল্য কই?, ‘কৃষি প্রধান দেশে কৃষকরা কেন অবহেলিত, ‘কৃষিতে সর্বোচ্চ ভর্তুকি নিশ্চিত করতে হবে’ স্লোগান সংবলিত প্ল্যাকার্ডে কৃষকদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন শিক্ষার্থীরা।
এ সময় কৃষকদের পাশে দাঁড়াতে সরকারের কাছে পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরেন শিক্ষার্থীরা। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- ধানের ন্যায্যমূল্য দিয়ে কৃষকদের কাছ থেকে ধান ক্রয় করতে হবে, মধ্যস্বত্বভোগী দালালদের দৌরাত্ম্য বন্ধ করতে প্রতি ইউনিয়ন হাটে সরকারি কেন্দ্র খুলে সরাসরি ধান ক্রয় করতে হবে, ক্ষতিতে ধান বিক্রয় করা কৃষকদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে, বিনা সুদে কৃষককে কৃষি ঋণ দিতে হবে ও দেশে বর্তমানে উৎপাদিত সব ধান বিক্রির আগ পর্যন্ত কোনো ধরনের ধান আমদানি করা যাবে না, প্রয়োজনে সরকারের পক্ষ থেকে ধান রফতানির দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে।
মানববন্ধন পরবর্তী সমাবেশে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ। যদি কৃষি কাজ হুমকির সম্মুখীন হয় তাহলে দেশ বাঁচবে কিভাবে? চলতি বছর দেশে প্রয়োজন অতিরিক্ত চাল আমদানি করায় চরম বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা। যা দেশে উৎপাদিত ধানের দাম খরচের তুলনায় অনেক কম। ফলে কৃষকদের বিরাট ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে। কৃষকদের ধানের মূল্য যতদিন পর্যন্ত বৃদ্ধি করা না হবে ততদিন পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা।
এতে বক্তব্য রাখেন- সংস্কৃতি কর্মী অলক কান্তি বিশ্বাস, রণদা প্রসাদ তালুকদার, শাখা সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সহ-সভাপতি তৌহিদুজ্জামান জুয়েল, শিক্ষার্থী মীর সাব্বির আহমেদ চৌধুরী, আসিফ মিসবাহ, আবরার সালেকিন রাইহান ও সাদিয়া আফরিন প্রমুখ।
মোয়াজ্জেম হোসেন/এএম/পিআর