বান্ধবীর বাবার বিয়ে ঠেকাতে গিয়ে মার খেলেন জাবির ৬ শিক্ষার্থী

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
প্রকাশিত: ০৮:১৩ পিএম, ০৬ মে ২০১৯

বান্ধবীর বাবার বিয়ে ঠেকাতে গিয়ে সিরাজগঞ্জের তাড়াশে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ছয় শিক্ষার্থী স্থানীয়দের হাতে মারধরের শিকার হয়েছেন। রোববার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে। এ ঘটনায় তাড়াশ থানায় জিডি করেছেন ওই শিক্ষার্থীরা।

এরা হলেন- জাবির বাংলা বিভাগের ৪২ তম ব্যাচের মো. রকিবুল হাসান, নাট্যতত্ত্ব বিভাগের ৪৭ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. আরিফুল ইসলাম, রিশা আইরিন, রেদোয়ান মাহফুজ, ক্যামেলিয়া শারমিন ও দিবাকর বড়ুয়া।

শিক্ষার্থীদের জিডি সূত্রে জানা যায়, সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার সগুনা ইউনিয়নের সবুজতারা গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সামাদের (৭০) মেয়ে রিশা আইরিন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী। কয়েকদিন আগে তিনি ছুটিতে বাড়ি যান। এ সময় তার বাবা আব্দুস সামাদ দ্বিতীয় বিয়ের জন্য প্রস্তুতি শুরু করলে রিশা বিষয়টি টের পেয়ে তার পাঁচ বন্ধুর কাছে সাহায্য চান। এর প্রেক্ষিতে রোববার সন্ধ্যায় তার বন্ধুরা তাড়াশে গিয়ে রাতে রিশার বাবার সঙ্গে বিয়ে নিয়ে কথা বলেন। একপর্যায়ে তারা বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। এ সময় উত্তেজিত হয়ে রিশার বাবা স্থানীয়দের ডেকে এনে রিশাসহ তার বন্ধুদের মারধর করেন। পরবর্তীতে রিশার বাবা তার বন্ধু-বান্ধবদের নামে মিথ্যা মামলা করতে চান। খবর পেয়ে তাড়াশ থানা পুলিশ রাত আড়াইটার দিকে রিশাসহ ছয়জনকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।

এ বিষয়ে রিশার বাবা আব্দুস সামাদ বলেন, আমার স্ত্রী নাজমুননাহার (৬০) পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে দীর্ঘ ১৫ বছর যাবৎ শয্যাশায়ী। তাকে আমি নিজেই দেখাশোনা করছি। কিন্তু বর্তমানে আমি নিরুপায় হয়ে দ্বিতীয় বিয়ের চিন্তা-ভাবনা করি। বিষয়টি আমার মেয়ে জানতে পেরে তার বন্ধুদের ডেকে এনে আমাকে লাঞ্ছিত করে।

এ বিষয়ে তাড়াশ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, আহত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের স্থানীয় চিকিৎসকদের কাছে নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। তাদের বাড়িতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।

হাফিজুর রহমান/আরএআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।