ভেঙে ফেলা হলো খালেদা জিয়ার নামের ভিত্তিপ্রস্তর
তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার নামে করা কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) প্রতিষ্ঠাকালীন ভিত্তিপ্রস্তরটি রাতের আঁধারে ভেঙে ফেলা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নির্দেশে মূল ফটক সংলগ্ন ভিত্তিপ্রস্তরটি ভাঙা শুরু করে শ্রমিকরা।
এদিকে, প্রতিস্থাপন না করে ফলকটি ভেঙে ফেলায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার উদ্বোধন করা এবং তার নামের ভিত্তিপ্রস্তরটি ভেঙে ফেলায় নিন্দা জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল।
তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ রাস্তা সম্প্রসারণ এবং সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য ভিত্তিপ্রস্তরটি ভাঙা হচ্ছে। যা পরবর্তীতে প্রতিস্থাপন করা হবে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তরটির সঙ্গে আমাদের অস্তিত্ব জড়িয়ে আছে। রাস্তার কাজে তা ভাঙার প্রয়োজন যদি হয় তবে তা আগে প্রতিস্থাপন করে তারপর ভাঙার প্রয়োজন ছিলো।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের প্রচার সম্পাদক আবুল বাশার বলেন, শুধুমাত্র রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণেই সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার করা ভিত্তিপ্রস্তরটি প্রতিস্থাপন ছাড়া ভেঙে ফেলেছে প্রশাসন। রাতের আঁধারে করা এই ধরনের কাজ নিন্দনীয়। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই। সেই সঙ্গে প্রশাসনের কাছে ভিত্তিপ্রস্তরটি প্রতিস্থাপনের দাবি জানাই।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত) অধ্যাপক ড. আবু তাহের বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে ৪০ ফিটের রাস্তা ও সম্মুখে দৃষ্টিনন্দন গেট নির্মাণ করা হবে। এই সম্প্রসারণ এবং সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য ভিত্তিপ্রস্তরটি ভাঙা হচ্ছে। তবে ফলকটি উঠিয়ে রাস্তার কাজ শেষে ঠিকঠাক প্রতিস্থাপন করা হবে।
ভাঙার আগেই কেন প্রতিস্থাপন করা হয়নি এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রাস্তা নির্মাণের আগে অনুমানের ওপর ভিত্তি করে ভিত্তিপ্রস্তর প্রতিস্থাপন করা হলে সেটি অসুন্দর হতে পারে। তাই প্রতিস্থাপনের কাজটি পরে করা হবে। প্রয়োজনে নামফলকের লেখা যেগুলো উঠে গেছে সেগুলো নতুন কালি করে দেয়া হবে।
প্রসঙ্গত, ২০০৬ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি দেশের ২৬তম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ভিত্তিপ্রস্তরটি স্থাপন করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। ওই বছরের ২৮ মে বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা পায়।
এএম/পিআর