শেকৃবিতে মিষ্টি আলুর উন্নত উৎপাদন প্রযুক্তি উদ্ভাবন
বাংলাদেশে মিষ্টি আলুর উন্নত উৎপাদন প্রযুক্তি উদ্ভাবনে সফলতা অর্জন করেছে রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) একদল গবেষক।
গবেষক দলের প্রকল্প পরিচালক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন আহাম্মদ এবং রিসার্স কো-ইনভেস্টিগেটর উপ- উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সেকেন্দার আলী, অধ্যাপক ড. মো. আশাবুল হক ও অধ্যাপক ড. মো. ইকরামুল হক।
মূল গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করছেন এগ্রিকালচারাল বোটানি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আশাবুল হক। মাঠ পর্যায়ে কাজের ক্ষেত্রে সহযোগিতা করেছেন মো. মোখলেসুর রহমান মুন্নাসহ তিন এমএস শিক্ষার্থী।
এই গবেষণা কার্যক্রমে অর্থায়ন করেছে জাপান আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (জাইকা) এবং সার্বিক সহযোগিতা দিয়েছে দেশটির মারুহিসা কোম্পানি।
গবেষক দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা মোট ৪টি জাত নিয়ে কাজ করেন। এর মধ্যে তিনটি জাপানি জাত- বেনি, খোকেই ও খোগানে এবং একটি বারি মিষ্টি আলু-১২। বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা মাঠসহ গাইবান্ধা, শেরপুর, বগুড়া ও শরীয়তপুরে পরীক্ষামূলকভাবে জাতগুলোর চাষাবাদ করা হয়েছে।
তারা জানান, এর মধ্যে জাপানের খোকেই জাতটির আশানুরূপ ফলন পাওয়া গেছে। হেক্টরপ্রতি ফলন ৩০-৩৫ টন। এতে তৈরিকৃত উন্নত জৈব সার ও মালচিং প্রক্রিয়া ব্যবহার করা হয়েছে। ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত এই গবেষণা কার্যক্রম চলবে।
অধ্যাপক ড. মো. আশাবুল হক জাগো নিউজকে বলেন, 'ভিটামিন- এ’ এর ঘাটতি পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে এ জাতটি। পাশাপাশি ফলন বেশি হওয়ায় কৃষকের আর্থসামাজিক উন্নয়নেও বেশ অবদান রাখবে।
প্রকল্প পরিচালক অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন আহাম্মদ বলেন, সুষম খাবারের ঘাটতি পূরণ হচ্ছে না দেশে। খাবারের ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত জ্ঞান নেই আমাদের। এ দেশে মিষ্টি আলু সস্তা এবং যথেষ্ট ভিটামিন-এ সমৃদ্ধ হওয়ায় 'ভিটামিন-এ' এর ঘাটতি পূরণে জাতগুলো গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে সক্ষম হবে।
মো. রাকিব খান/এমএমজেড/এমএস