ছাত্রলীগ পরিচয়ে রাবি শিক্ষার্থীকে জিম্মি করে চাঁদা দাবি

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
প্রকাশিত: ০৮:৪৩ এএম, ২৭ মার্চ ২০১৯

স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতা পরিচয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) দুই শিক্ষার্থীকে জিম্মি করে ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন বিনোদপুর বাজারের একটি দোতলা ভবনে ওই শিক্ষার্থীদের আটকে রেখে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা।

ঘটনার শিকার শিক্ষার্থীরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবু ইউসুফ সাজিদ ও গণিত বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী কামারুজ্জামান সুমন।

ভুক্তভোগী আবু ইউসুফ সাজিদ বলেন, ‘আমি এবং সুমন বিনোদপুর বাজারের একটি ভবনের দ্বিতীয় তলায় দুটি রুম ভাড়া নিয়ে টিউশনি করাই। সন্ধ্যায় হঠাৎ কয়েকজন যুবক এসে স্থানীয় ছাত্রলীগের বড় নেতা দাবি করে। এখানে মাদক ব্যবসা করা হয় অভিযোগ তুলে আমাকে মারধর শুরু করে, মারধরের একপর্যায়ে আমার মানিব্যাগ-মোবাইল কেড়ে নেয়। এরপর তারা ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে আমার সহকর্মীকে টাকা নিয়ে আসার জন্য ফোন করতে বলে। আমি আমার সহকর্মীকে ফোন করি।’

ভুক্তভোগীর সহকর্মী কামারুজ্জামান সুমন বলেন, ‘ঘটনাস্থলে পৌঁছালে এখানে মাদক ব্যবসা করা হয় বলে তারা (যুবকরা) আমাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। পরে তারা তাৎক্ষণিক ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে আমাকে আটকিয়ে রেখে সাজিদকে টাকা আনতে নিচে পাঠায়।’

সাজিদ বলেন, ‘আমি দোতলা থেকে নিচে গিয়ে এক বড়ভাইকে জানাই। ওই বড়ভাই পুলিশকে নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে যুবকরা পালিয়ে যায়। যাওয়ার সময় দিনার নামের ওই নেতা একটি মোবাইল নম্বর দিয়ে যায় এবং টাকা এনে ওই নম্বরে যোগাযোগ করতে বলে। এখন আমরা নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত। এ ঘটনায় আমরা সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করব।’

ru-news

এদিকে ওই নম্বরে ফোন করে জানতে চাইলে দিনার নামে একজন চাঁদা দাবির বিষয়টি অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘আজ আমার বাবার মৃত্যুবার্ষিকী ছিল, তাই বাসা থেকে বের হইনি। এসব মিথ্যা অভিযোগ।’

কোনো রাজনীতির সঙ্গে জড়িত কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি রাজশাহী মহানগর ছাত্রলীগের সদস্য।’

এ বিষয়ে মতিহার থানার ডিউটিরত উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এএসআই) সিদ্দিক হুসাইন সাংবাদিকদের বলেন, ঘটনাটি শোনামাত্র আমরা তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই। কিন্তু আমাদের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা পালিয়ে যায়। এখন ভুক্তভোগীরা লিখিত অভিযোগ দিলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান বলেন, ‘সাংবাদিকরা ঘটনাটি জানানো মাত্র আমি মতিহার থানা পুলিশকে অবহিত করি। পুলিশ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদেরকে উদ্ধার করে।’

সালমান শাকিল/এফএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।