ডাকসু নির্বাচনের অনিয়মগুলো ‘নরমাল’

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
প্রকাশিত: ০৪:২৪ পিএম, ১৮ মার্চ ২০১৯

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের উত্থাপিত অনিয়মগুলো নরমাল বলে মনে করছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।

তিনি বলেন, ডাকসুর আগের নির্বাচনগুলোতে বেশি অনিয়ম হয়েছে। সংঘর্ষ ও খুনের ঘটনাও ঘটেছে। সে তুলনায় এবারের নির্বাচনে অনিয়মগুলো নরমাল।

সোমবার অনশনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এমন কথা বলেন তিনি।

বৈঠকে অনশনকারীদের মধ্যে তাওহীদ তানজিম, শোয়েব মাহমুদ, রাফিয়া তামান্না ও রবিউল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। যারা গত শুক্রবার রাতে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মু. সামাদের আশ্বাসে অনশন ভাঙেন। বৈঠকে উপস্থিত হয়ে শিক্ষার্থীরা ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের নানা অনিয়মের প্রমাণ উপাচার্যের হাতে তুলে দেন। এ সময় আখতারুজ্জামান অনিয়মগুলো তদন্ত কমিটি খতিয়ে দেখবে বলে আশ্বস্ত করেন।

বৈঠক শেষে শোয়েব মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘নির্বাচনে ভোট কারচুপি, ভোট প্রদানে বাধা ও প্রার্থীদের ওপর হামলার বিষয়গুলো উপাচার্যকে জানানো হয়েছে। প্রমাণ হিসেবে বিভিন্ন হলে ভোটের অনিয়ম, ভোটারদের লিখিত অভিযোগ ও হামলার ভিডিও ফুটেজ দেয়া হয়েছে। উপাচার্য স্যার বলেছেন, নির্বাচন নিয়ে নানা অভিযোগ খতিয়ে দেখতে ১৩ মার্চ যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে, তাদের কাছে এই ডকুমেন্টগুলো সরবরাহ করা হবে।

তিনি বলেন, এসব অনিয়ম নিয়ে আলোচনার সময় উপাচার্য স্যার বলেছেন, ‘আগের ডাকসু নির্বাচনগুলোয় অনেক বেশি অনিয়ম হয়েছে। সেগুলোর চেয়ে এই নির্বাচনে অনেক নরমাল অনিয়ম হয়েছে। নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে।’

এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ফলাফল বাতিল এবং পুনঃতফসিল ঘোষণাসহ পাঁচ দফা দাবিতে দুপুরে উপাচার্য কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়েছে আন্দোলনকারীরা। রাজু ভাস্কর্য থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ভিসি কার্যালয়ের সামনে এসে অবস্থান নেয় শিক্ষার্থীরা। এ সময় আন্দোলনকারীরা উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের পদত্যাগসহ পাঁচ দফা দাবি মেনে নেয়ার আহ্বান জানায়। অন্যথায় কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেয় নির্বাচন বর্জনকারী প্যানেলগুলো।

আন্দোলনকারীদের দাবিগুলো হলো- জালিয়াতির ডাকসু নির্বাচন বাতিল, পুনঃতফসিল ঘোষণা, ভিসির পদত্যাগ দাবি, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, হামলাকারীদের শাস্তি নিশ্চিতকরণ।

নির্বাচন বর্জনকারী পাঁচটি প্যানেল হলো- কোটা সংস্কার আন্দোলন, প্রগতিশীল ছাত্র ঐক্য, স্বতন্ত্র জোট, স্বাধিকার স্বতন্ত্র পরিষদ ও ছাত্র ফেডারেশন।

তবে এ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন না ভিপি নুরুল হক নুর ও প্রগতিশীল ছাত্র ঐক্যের ভিপি প্রার্থী লিটন নন্দী।

এমএইচ/জেএইচ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।