লাইনে দাঁড়াতে দিচ্ছে না ছাত্রলীগ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
প্রকাশিত: ১১:৫৬ এএম, ১১ মার্চ ২০১৯
বঙ্গবন্ধু ও একাত্তর হলে ছাত্রলীগ অনাবাসিক ছাত্রদের লাইনে দাঁড়াতে দিচ্ছে না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ছাত্রদের অভিযোগ, যারা ভোট দিয়েছে, তাদের আবার লাইনে দাঁড় করিয়ে দেরি করানো হচ্ছে। মুহসিন হলে বেছে বেছে ছাত্রদের ঢোকানো হচ্ছে।
ছাত্রলীগের হল সভাপতি, সেক্রেটারি গেটে দাঁড়িয়ে থাকছেন। কৃত্রিম লাইন তৈরি করা হয়েছে। গেটে গেটে ছাত্রলীগের অবস্থান রয়েছে। এ ছাড়া অন্যান্য হলেও এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল মনোনীত সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদপ্রার্থী আনিসুর রহমান খন্দকার অনিক বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে কলঙ্কিত করার অপচেষ্টায় প্রশাসন ও ছাত্রলীগ। ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচনকে নষ্ট করার জন্য যা যা করা দরকার সবই করছে ‘
সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হলের সামনে জাগো নিউজের কাছে তিনি এমন অভিযোগ করেন।
অনিক বলেন, ‘এই অপচেষ্টার একটি হলো অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের ভোট দিতে দেয়া হচ্ছে না। শুধুমাত্র যারা ছাত্রলীগের পরিচয় দেয় তারাই বারবার সিরিয়ালে দাঁড়াচ্ছে আবার বের হয়ে যাচ্ছে। অথচ অনাবাসিক শিক্ষার্থীরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও ভোট দিতে পারছে না।’
তিনি বলেন, ‘প্রশাসন ও শিক্ষকদের কাছে বারবার অভিযোগ করার পরও তারা শুধু দেখার আশ্বাস দিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু এখনো পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা তারা গ্রহণ করেনি। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এসে সিরিয়াল ভেঙে ভোট দিতে ঢুকে যাচ্ছে। এ বিষয়ে আমরা বারবার প্রশাসনকে জানাচ্ছি, তারা দেখছি দেখছি বলে কাটিয়ে দিচ্ছেন, কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেন না।’
লিখিত অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের দিন অভিযোগ লিখতে লিখতে যদি নির্বাচনের সময় পেরিয়ে যায় তাহলে সে অভিযোগ দিয়ে কি কোনো লাভ হবে? এর আগে আমরা প্রশাসনের কাছে যত অভিযোগ দিয়েছি তার কোনো সুরাহা করেনি তার কোনো ফলাফল আমরা পাইনি। প্রশাসনের প্রতি আমাদের যে আস্থা ছিল তা সম্পূর্ণরূপে উঠে গেছে।’
সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে দীর্ঘ ২৮ বছর ১০ মাস পর আজ অনুষ্ঠিত হচ্ছে ‘দেশের মিনি পার্লামেন্ট’ খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন। একইসঙ্গে অনুষ্ঠিত হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮টি আবাসিক হল সংসদের নির্বাচন।
সকাল ৮টায় শুরু হওয়া এই নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলবে দুপুর ২টা পর্যন্ত। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ১৮ হলে প্রস্তুত করা হয়েছে ৫০৮টি বুথ। ৪২ হাজার ৯২৩ ভোটারের জন্য এসব বুথ তৈরি করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় সংসদে ২৫টি ও হল সংসদের ১৩টিসহ মোট ৩৮টি পদের জন্য ভোট দেবেন শিক্ষার্থীরা। কেন্দ্রীয় সংসদে ২৫টি পদের বিপরীতে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন ২২৯ জন। আর প্রতিটি হল সংসদে ১৩টি পদের জন্য ১৮টি হলে ৫০৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এমএইচ/এসআর/এমকেএইচ