আপত্তির মধ্যেই হলে হলে ব্যালট
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:৫০ পিএম, ১০ মার্চ ২০১৯

ছাত্রলীগ ছাড়া অন্যসব প্রার্থী-সংগঠনের আপত্তির মধ্যেই বিকেল থেকে হলে হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ব্যালট পাঠানো শুরু করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
রোববার বিকেলে এ নিয়ে উপাচার্যের সঙ্গে পৃথক সাক্ষাৎও করেছেন প্রার্থীরা। ছাত্রদল ছাড়া অন্যসব প্রার্থী একই প্লাটফর্ম থেকে স্মারকলিপি দিয়েছেন উপাচার্যকে। যেখানে সাত দফা দাবি তুলে ধরেন তারা। এরপরও হলে হলে ব্যালট পেপার পাঠানো শুরু করে প্রশাসন। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রার্থীরা।
বিজ্ঞাপন
স্বতন্ত্র প্রার্থী এ আর এম আসিফুর রহমান বলেন, রাতে হলে ব্যালট পাঠিয়ে নির্বাচনকে ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনের মতো কলঙ্কিত করতে চাচ্ছে প্রশাসন। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। তবে আমরা আশা করি সকালে সব শিক্ষার্থী তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে। প্রশাসন সে নিশ্চয়তা দেবেন।
জানতে চাইলে সন্ধ্যায় জগন্নাথ হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. অসীম সরকার বলেন, ‘ব্যালট আনতে আমাদের হল থেকেও শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী গেছেন। আমরা শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করতে চাই, ব্যালট ও ব্যালট বাক্সের নিরাপত্তা নিশ্চিত করব। এটা আমাদের নৈতিকতার প্রশ্ন।’
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
এর আগে বেলা সোয়া ৩টার দিকে স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সের ব্যবহার ও সকালে ব্যালট বাক্স হলে প্রেরণের দাবি নিয়ে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দেয় ছাত্রলীগ ছাড়া অন্যসব প্যানেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থী। তারা ভোটের দিন সকালে ব্যালট বাক্স প্রেরণসহ কয়েক দফা দাবি করেন।
প্রথমে বামজোট, স্বতন্ত্র জোট, কোটা সংস্কার আন্দোলন, স্বাধিকার স্বতন্ত্র পরিষদ, ছাত্র ফেডারেশন, ছাত্রমৈত্রী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের কয়েকজন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে স্মারকলিপির মাধ্যমে সাত দফা দাবি তুলে ধরেন।
স্মারকলিপিতে উত্থাপিত দাবিগুলো হলো- সবার ভোট গ্রহণের বাস্তব পরিবেশ তৈরির লক্ষ্যে ভোট গ্রহণের সময় চার ঘণ্টা বাড়ানো; নির্বাচনকেন্দ্রিক শঙ্কা ও ধূম্রজাল নিরসনের লক্ষ্যে সব ধরনের মিডিয়ার কেবল পোলিং বুথের অভ্যন্তর ছাড়া নির্বাচনী এলাকা ও ভোটকেন্দ্রের তথ্য সংগ্রহের অবাধ সুযোগ তৈরি করা; ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের আসতে নিরুৎসাহিতকারীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ; স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স ব্যবহার ও পোলিং এজেন্ট নিয়োগের অনুমতি প্রদান; নির্বাচনী পর্যবেক্ষক ও ভোটারদের নিরাপত্তা বিধানে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহণ; প্রতিটি কেন্দ্রে সকাল বেলা ব্যালট পেপার নেয়া এবং ভোটগ্রহণের দিন সকালে সব রুটে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসের সংখ্যা বৃদ্ধি করা। এদিকে একই দাবিতে উপাচার্যের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ছাত্রদলও।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
এমএইচ/বিএ/জেআইএম