উপাচার্যের কাছে যেসব দাবি ছাত্রসংগঠনগুলোর
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:২৯ পিএম, ১০ মার্চ ২০১৯
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদের নির্বাচনে বিভিন্ন দাবি নিয়ে উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনায় বসেছে ছাত্র সংগঠনগুলো। তবে আলোচনায় অংশ নেয়নি ছাত্রলীগ।
রোববার বিকেল ৪টার দিকে উপাচার্যের কার্যালয়ে এ বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকের বাইরে বিক্ষোভ করে বামজোট, স্বতন্ত্র জোট, স্বাধিকার স্বতন্ত্র পরিষদ, কোটা, ছাত্র ফেডারেশনসহ অন্য স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।
তারা ‘নীলনকশার নির্বাচন ছাত্র সমাজ মানবে না’, রড-হাতুড়ি হেলমেটের জবাব হবে ব্যালটে’, মিডিয়ার ওপর নিয়ন্ত্রণ ছাত্র সমাজ মানবে না’, ‘প্রহসনের নির্বাচন মানি না, মানব না’, ‘কারচুপির নির্বাচন মানি না, মানব না’ বিভিন্ন স্লোগান দেন।
বৈঠক শেষে স্বতন্ত্র জিএস প্রার্থী এ আর এম আসিফুর রহমান বলেন, ‘আপনারা ভোট দিতে আসুন। আপনাদের নিরাপত্তা আমরা সবাই মিলে দেব। কোনো ভয় পাবেন না। কোনো অপশক্তির কাছে মাথা নোয়াব না।’
উপাচার্যের কাছে যেসব দাবি উত্থাপন করে ছাত্রসংগঠনগুলো-
১. সকলের ভোট গ্রহণের বাস্তব পরিবেশ তৈরির লক্ষ্যে ভোট গ্রহণের সময় আরও চার ঘণ্টা বাড়ানো।
২. নির্বাচন-কেন্দ্রিক শঙ্কা ও ধূম্রজাল নিরসনের লক্ষ্যে সকল ধরনের মিডিয়ার কেবল পোলিং বুথের অভ্যন্তর ছাড়া নির্বাচনী এলাকা ও ভোটকেন্দ্রের সকল তথ্য সংগ্রহের অবাধ সুযোগ তৈরি করা।
৩. ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের আসতে নিরুৎসাহিত করাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
৪. স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স ব্যবহার ও পোলিং এজেন্ট নিয়োগের অনুমতি প্রদান।
৫. নির্বাচনী পর্যবেক্ষক ও ভোটারদের নিরাপত্তা বিধানে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহণ।
৬. প্রতিটি কেন্দ্রে সকাল বেলা ব্যালট পেপার নেয়া এবং
৭. ভোট গ্রহণের দিন সকাল বেলা সকল রুটে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসের সংখ্যা বৃদ্ধি করা।
এদিকে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে উপাচার্যের কাছে আবেদন দিয়েছেন ১০ জন শিক্ষক। তারা হলেন- গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক গীতি আরা নাসরীন, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক কামরুল হাসান, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ফাহমিদুল হক, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খান, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সামিনা লুৎফা, অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রুশাদ ফরিদী, উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক কাজী মারুফুল ইসলাম, অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক অতনু রব্বানী, ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তাহমিনা খানম ও শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সাজ্জাদ এইচ সিদ্দিকী।
এমএইচ/বিএ/পিআর