দ্বিতীয় দিনের মতো মধুর ক্যান্টিনে ছাত্রদল

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০১:৩০ পিএম, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯
দীর্ঘ ৯ বছর পর গতাকল মধুর ক্যান্টিনে বসে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দ্বিতীয় দিনের মতো মধুর ক্যান্টিনে গেছে বিএনপির ছাত্র সংগঠন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।

বৃহস্পতিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় ও বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির নেতাকর্মীরা মধুর ক্যান্টিনে যান। বেলা ১টা পর্যন্ত তারা মধুর ক্যান্টিনে থাকবেন বলে জানান।

ছাত্রদলের নেতাদের মধ্যে রয়েছেন কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি রাজীব আহসান, সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান, বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি আল মেহেদী তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক আবুল বাশার সিদ্দিকীসহ অন্যান্যরা।

আজও তারা মধুর ক্যান্টিনের উত্তর-পূর্ব কোণে বসেছেন। অন্যদিকে দক্ষিণ পাশে ছাত্রলীগ ও পশ্চিম পাশে বাম সংগঠনের নেতাকর্মীরা বসেছেন। সব ছাত্র সংগঠনের সহাবস্থানে মধুর ক্যান্টিন পেয়েছে পুরানো রূপ। মুহুর্মুহু স্লোগান দিচ্ছেন সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা।

এদিকে দুপুর ১২টার দিকে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন ছাত্রদল নেতারা। এ সময় সংগঠনের সভাপতি রাজীব আহসান বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তারা নিয়মিত আসতে চান। তিনি আশা করেন ঢাবির মতো সহাবস্থানের এ সংস্কৃতি অন্যান্য ক্যাম্পাসেও চালু হবে।

প্রার্থী হওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, কে প্রার্থী হতে পারবে কে পারবে না সেটা বড় কথা নয়। আমরা চাই প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের দাবিগুলো মেনে নেয়া হোক। আমাদের দাবিগুলো যৌক্তিক।

সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান বলেন, আমাদের সাত দফা দাবির মধ্যে প্রথম দফা ছিল সহাবস্থান। সেটি বাস্তবায়ন হচ্ছে। আমরা শিক্ষকদের প্রতি আস্থা রাখতে চাই। ক্রমান্বয়ে সব দাবি পূরণ হবে বলে আমরা আশাবাদী। এ সময় তিনি ডাকসু নির্বাচনের জন্য গঠিত কমিটিগুলো পুনর্গঠনের দাবি জানিয়ে বলেন, সর্বদলীয় ও নিরপেক্ষ শিক্ষকদের দিয়ে কমিটি পুনর্গঠন করা হোক।

এর আগে দীর্ঘ ৯ বছর পর বুধবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) প্রথম মধুর ক্যান্টিনে প্রবেশ করে ছাত্রদল। এ সময় তারা এখন থেকে নিয়মিত মধুর ক্যান্টিনে আসতে চান বলে জানান।

এমএইচ/এএইচ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।