র্যাগ দেয়ায় আজীবনের জন্য বহিষ্কার ৬ শিক্ষার্থী
গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) দুই শিক্ষার্থীকে র্যাগিং দেয়ার অপরাধে ছয় ছাত্রকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।
বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের শিপন আহম্মেদ, শাহীন মিয়া, হৃদয় কুমার ধর, তূর্য হাওলাদার, নাদিম ইসলাম ও আশিকুজ্জামান খান লিমন।
সোমবার বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির এক সভায় সর্বসম্মতিক্রমে অভিযুক্ত ছয় শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
বিশ্ববিদ্যায়ের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মো. শাহজাহান ও কৃষি বিভাগের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এইচএম অনিসুজ্জামান সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে শনিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র মো. রাজেশ হোসাইন শিথিল ও মাহামুদুল হাসান নামে দুই শিক্ষার্থীকে ক্যাম্পাসের বাইরে গোবরা গ্রামের একটি মেসে নিয়ে র্যাগ দেন ওই ছয় শিক্ষার্থী।
র্যাগিংয়ের ভিডিওটি ফেসবুকে ছেড়ে দেয়া হলে তা ভাইরাল হয়। যা এখন বিশ্ববিদ্যালয়সহ গোপালগঞ্জে টক অব দ্য টাউনে পরিণত হয়েছে। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়।
এ ঘটনায় সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের হল রুমে প্রক্টর ও সহযোগী আধ্যপক আশিকুজ্জামান ভূইয়ার নেতৃত্বে ১৬ সদস্যের একটি প্রক্টরিয়াল বোর্ড জরুরি সভায় বসে। সভা শেষে অভিযুক্ত ছয় শিক্ষার্থীকে আজীবনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার এবং তাদের বিরুদ্ধে আইসিটি আইনে মামলা দায়েরের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
এদিকে, ছয় শিক্ষার্থী বহিষ্কারের ঘটনায় সুষ্ঠু বিচার পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন র্যাগিংয়ের শিকার হওয়া শিক্ষার্থী মো. রাজেশ হোসাইন শিথিল। আগামীতে যাতে এ ধরনের র্যাগিংয়ের শিকার কোনো শিক্ষার্থী না হয় তার জন্য দাবি জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
এস এম হুমায়ূন কবীর/এএম/এমএস