ডাকসু গঠনতন্ত্র সংশোধন : ছাত্র সংগঠনের প্রস্তাবনা উপস্থাপন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) গঠনতন্ত্র যুগোপযোগী ও সংশোধনের জন্য গঠিত কমিটির ছাত্র সংগঠনগুলোর সঙ্গে প্রথম মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় শুরু হওয়া এ সভা চলে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত।
গঠনতন্ত্র সংশোধন কমিটির আহ্বায়ক আইন বিভাগের অধ্যাপক মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- অধ্যাপক এ এস এম মাকসদু কামাল, অধ্যাপক রহমত উল্লাহ, অধ্যাপক সুপ্রিয়া সাহা ও অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা। এতে ১৩টি ছাত্র সংগঠনের প্রতিনিধিরা অংশ নেয়। সভায় সংগঠনগুলো নিজ নিজ সংগঠনের প্রস্তাবনা তুলে ধরেন।
সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন গঠিত কমিটি ও ছাত্র সংগঠনগুলোর নেতারা। সময় স্বল্পতার কারণে সব সংগঠনের প্রতিনিধিদের কাছ থেকে আগামী সোমবারের মধ্যে লিখিত প্রস্তাবনা দেয়ার জন্য বলা হয়েছে।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, ছাত্রলীগ থেকে ডাকসুর সেক্রেটারিয়েটের সংখ্যা বৃদ্ধি, নারী প্রতিনিধি, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সমস্যা কেন্দ্রিক আলাদা সম্পাদকের পদ সৃষ্টিসহ বিভিন্ন দাবি তুলে ধরা হয়।
অন্যদিকে ছাত্রদলের পক্ষ থেকে নির্বাচনে প্রচার-প্রচারণা ও ক্যাম্পাসে সব সংগঠনের নেতাকর্মীরা যেন সমান সুযোগ পায় সে বিষয়ে প্রস্তাবনা রাখা হয়।
বাম সংগঠনের প্রতিনিধিরা, বিশ্ববিদ্যালয়ের এমপিল করা (নিয়মিত) শিক্ষার্থীদের সদস্য রাখা, দীর্ঘদিন পরে নির্বাচন হচ্ছে বিধায় একটি নির্দিষ্ট সেশন পর্যন্ত শিক্ষার্থীকে নির্বাচনে অংশ নেয়ার সুযোগ দান, সভাপতির ক্ষমতা হ্রাস, এবং সেক্রেটারিয়েট বডির সদস্যদের ক্ষমতা বৃদ্ধিসহ নানা প্রস্তাবনা পেশ করে।
মতবিনিময় সভা শেষে অধ্যাপক মিজানুর রহমান বলেন, ‘বৈঠকে বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা তাদের প্রস্তাবনা পেশ করেছে। তারা আগামী সোমবারের মধ্যে লিখিত প্রস্তাবনা জমা দেবেন। এরপর বিষয়টি আমরা উপাচার্য বরাবর পেশ করব।’
ঢাবি ছাত্রলীগ সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস বলেন, ‘আমরা বৈঠকে আমাদের প্রস্তাবনাগুলো তুলে ধরেছি। আমরা চাই সব সংগঠন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক।’
ঢাবি ছাত্রদল সভাপতি আল মেহেদী তালুকদার বলেন, ‘আমরা মনে করতে চাই ক্যাম্পাসে সহাবস্থান নিশ্চিত করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এ ছাত্রদল নেতা বলেন, সহাবস্থান নিশ্চিত না হলে আমরা নির্বাচনে অংশ নাও নিতে পারি।’
এমএইচ/এনডিএস/এমকেএইচ