প্রাণোচ্ছল গ্রিন ইউনিভার্সিটি

জাগো নিউজ ডেস্ক
জাগো নিউজ ডেস্ক জাগো নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬:২১ পিএম, ১১ ডিসেম্বর ২০১৮

নয়নাভিরাম চারপাশ; নৈসর্গিক আচ্ছাদিত এমন পরিবেশ যেন শুধু শিক্ষালয় নয়, উপভোগেরও। ঢাকার সন্নিকটে পূর্বাচল আমেরিকান সিটিতে নান্দনিক এমন পরিবেশেই স্থায়ী ক্যাম্পাস গড়ে তুলেছে গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ। শিক্ষা কার্যক্রম ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে। চলছে ভর্তি কার্যক্রম, নিয়মিত ক্লাস ও পরীক্ষা গ্রহণসহ অন্যান্য কর্মকাণ্ড।

বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কোয়ালিটি এডুকেশনের সঙ্গে উন্নত ভৌত অবকাঠামো সুবিধা নিশ্চিত করতেই গড়ে তোলা হয়েছে গ্রিন ইউনিভার্সিটির স্থায়ী ক্যাম্পাস। শুধু তাই নয়, জাতির ভবিষ্যৎ কর্ণধারদের অধিক যোগ্য করে তুলতে শিক্ষা সংক্রান্ত সব উপকরণই এখানে আছে।

নতুন ক্যাম্পাস নিয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝেও বেশ উৎসাহ-উদ্দীপনা লক্ষ্য করা গেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগের ছাত্র ইফতেখার মাহমুদ বলেন, মনোরম পরিবেশে নতুন ক্যাম্পাস, উচ্ছ্বাস তো থাকবেই। ঢাকার যানজট ছেড়ে মুক্ত পরিবেশে লেখাপড়ার সুযোগ পাওয়া এক অন্যরকম ভালোলাগা।

সেক্ষেত্রে সুবিশাল খেলার মাঠ, ইনডোর গেমস ও যাতায়াতের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসও বাড়তি মাত্রা যোগ করবে। উল্লেখ্য, কুড়িল বিশ্বরোড, সোনারগাঁও, ভলতা ও নরসিংদীসহ বিভিন্ন স্থান থেকে শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার জন্য ইতোমধ্যেই কয়েকটি বাস চালু করা হয়েছে। প্রয়োজনের আলোকে আরো অধিক সংখ্যক বাসের ব্যবস্থা করা হবে।

Green2

গ্রিন ইউনিভার্সিটির যাত্রা শুরু ২০০৩ সালে। তবে ২০১১ সালে ইউএস-বাংলা গ্রুপ দায়িত্ব নেয়ার পর বৃহৎ আকারে এর পরিবর্তন আসে। পরিকল্পনা হয় স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণসহ অবকাঠামো উন্নয়নের। সংশ্লিষ্টদের দাবি, এক যুগের বেশি সময় আগে স্বল্প পরিসরে যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সূচনা হয়েছিল, কালক্রমে তা এখন দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়।

ছাত্র-শিক্ষক বিনিময় এবং যৌথ গবেষণা প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কানাডার ইউনিভার্সিটি অব রেজিনা, যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব হাডারস্ফিল্ড এবং চীনের শীর্ষ চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে এমওইউ ছাড়াও ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে নামকরা অনেক উচ্চ-শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে।

বিশ্ববিদ্যালয়টি ইতোমধ্যে অর্জন করেছে বিশ্বের বিখ্যাত ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব ইউনিভার্সিটি প্রেসিডেন্ট ও অ্যাসোসিয়েশন অব ইউনিভার্সিটিজ ইন এশিয়া অ্যান্ড প্যাসিফিকের সদস্য পদ।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয়টিতে বর্তমানে চারটি অনুষদ ও ৮টি বিভাগ রয়েছে। পরিচালিত হচ্ছে ইঞ্জিনিয়ারিং, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং, ব্যবসায় শিক্ষা, আইন, ইংরেজি ও সমাজবিজ্ঞানসহ উচ্চতর শিক্ষাবিষয়ক ১৫টি কোর্স।

Green3

প্রতিবেদনের তথ্যমতে, বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ১৮৩ জন শিক্ষক পাঠদান করছেন। যেখানে অধ্যাপক ১২ জন, সহযোগী অধ্যাপক ৯ জন, সহকারী অধ্যাপক ২৭ জন এবং ১১৩ জন লেকচারারসহ বেশকিছু খণ্ডকালীন শিক্ষক রয়েছেন। সে হিসাবে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে একজন শিক্ষকের বিপরীতে মাত্র ২৪ জন ছাত্র-ছাত্রী পড়াশোনা করছেন। যে সূচক দেশের অন্য অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ে এগিয়ে। এ ছাড়া রয়েছে সুবিশাল গ্রন্থাগার।

আইইবিপ্রাপ্ত প্রোগ্রামসমূহ: গৌরবের তিলকে সম্প্রতি নতুন পালক যোগ করেছে গ্রিন ইউনিভার্সিটি। অভিজ্ঞ শিক্ষকমণ্ডলী, মানসম্মত ল্যাব, লাইব্রেরি ও শ্রেণিকক্ষ পরিচালনার স্বীকৃতিস্বরূপ অর্জন করেছে ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (আইইবি) কর্তৃক অ্যাক্রেডিটেশন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সায়েন্স অনুষদভুক্ত কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই), ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) এবং টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ (প্রক্রিয়াধীন) এই স্বীকৃতি পেয়েছে।

তথ্যমতে, বাংলাদেশে যতগুলো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে; এর মধ্যে মাত্র কয়েকটি প্রতিষ্ঠান আইইবি স্বীকৃতির আওতাভুক্ত। সম্মানজনক এই সনদ অর্জন করায় বিশ্ববিদ্যালয়টির সিএসই, ইইই ও টেক্সটাইল বিভাগের স্নাতকধারীরা বিভিন্ন উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি বা চাকরির জন্য অগ্রাধিকার পাবে।

এ ছাড়া স্কলারশিপের সুবিধাও রেখেছে এই বিশ্ববিদ্যালয়টি।

এমআরএম/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।