সারা বছর আম ফলানোর কৌশল উদ্ভাবন
বাংলাদেশের জনপ্রিয় ফলগুলোর মধ্যে আম অন্যতম একটি। একে ফলের রাজাও বলা হয়। মৌসুমের সময় আম বেশ সহজলভ্য হলেও সারা বছর এর সহজলভ্যতা নেই। অন্য সময়ে আম পাওয়া গেলেও তার গুণগত মান ঠিক থাকে না। বছরের অন্য সময়ে আম ফলানো সম্ভব হলে তা দেশের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি অর্থনীতিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে।
বছরের বিভিন্ন সময়ে আম ফলানোর এ চমৎকার কৌশলে সফলতা অর্জন করেছেন শেকৃবির উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. আ ফ ম জামাল উদ্দিন ও একই বিভাগের এমএস শিক্ষার্থী মারজিনা আক্তার রিমা।
অধ্যাপক জামাল উদ্দিনের তত্ত্বাবধানে এ গবেষণা কার্যক্রম করেছেন রিমা। এক্ষেত্রে তারা ফোর্সিং পদ্ধতি ব্যবহার করেছেন। পরীক্ষামূলকভাবে তারা ২৪টি থাই ন্যামডকমাই৪ জাতের আমের ওপর পরিমিত মাত্রায় হরমোন প্রয়োগ করে এ সফলতা অর্জন করেন। হরমোন প্রয়োগের ফলে দ্রুতই আমের মুকুল প্রস্ফূটিত হয়। হরমোনাল এবং কেমিকেল নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে সহজেই সারা বছর আমের মুকুল প্রস্ফূটনের ওপর প্রভাব বিস্তার করা যায়।
এ ব্যাপারে অধ্যাপক ড. আ ফ ম জামাল উদ্দিন জাগো নিউজকে বলেন, থাইল্যান্ডের কেসেটসার্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে ১১ দিনের একটা প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের সময় এ পদ্ধতি সম্পর্কে অবগত হই। এ পদ্ধতি প্রয়োগ করে বছরের নির্দিষ্ট সময় আম ফলানো সম্ভব হবে। এতে কৃষকও লাভবান হবে। মানসম্পন্ন আমও পাওয়া যাবে। দেশীয় জনপ্রিয় ৭টি আমের জাত নিয়ে সাভারের কাশিমপুরে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএডিসি) সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করছি এখন। পরবর্তীতে কৃষক পর্যায়ে পদ্ধতিটি হাতে কলমে শিখিয়ে চাষের জন্য অবমুক্ত করা হবে।
তিনি আরও বলেন, এই পদ্ধতিতে ফলানো আমের গুণগত মানও ভালো। পোকামাকড়ের আক্রমণ তুলনামূলকভাবে কম হয়। আর প্রয়োজনীয় হরমোন বা কেমিকেল দেশেই সহজে পাওয়া যায়।
মো. রাকিব খান/বিএ