চবির ডি ইউনিটে ৭০তম স্থানে ছিল মঈন, অবশেষে ধরা

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৬:০৫ পিএম, ০৪ নভেম্বর ২০১৮

তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ভর্তি পরীক্ষায় মেধার স্বাক্ষর রেখে ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ডি ইউনিটে ৭০তম হয়েছিল মোহাম্মদ মঈন। পছন্দের বিষয় আইন বিভাগে ভর্তি হয়েছিল সে। রীতিমতো ক্লাস করে প্রথম বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষা দিতে গেলেই বের হয়ে আসে তার আসল পরিচয়।

যাচাই বাছাইয়ে জানা গেল, প্রক্সির মাধ্যমে আইন বিভাগে ভর্তি হয় মঈন। ভর্তি পরীক্ষায় তার হয়ে পরীক্ষা দেন অন্যজন। এতদিন প্রক্সি দেয়া ব্যক্তিরই ছবিই ছিল বিভাগীয় নথিপত্রে। আর শিক্ষার্থী হিসেবে বিভাগে অধ্যয়ন করছিল মঈন। পুরো এই প্রক্রিয়াটি ৩ লাখ টাকার চুক্তিতে একটি চক্র সম্পন্ন করে। রোববার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আলী আজগর চৌধুরী সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।

প্রক্সির মাধ্যমে ভর্তি হওয়া ওই শিক্ষার্থী এদিন আইন বিভাগের ৩নং গ্যালারিতে পরীক্ষা দিচ্ছিলেন। এ সময় হল পরিদর্শকের সন্দেহ হলে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে প্রক্টর কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হলে প্রক্সির মাধ্যমে ভর্তির বিষয়টি স্বীকার করে সে।

জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায়, সমাজতত্ত্ব বিভাগের ২০০৮-০৯ শিক্ষাবর্ষের হোসাইন আল মাসুম এই প্রক্সির চক্রের মূলহোতা। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে জানা গেছে। তার মাধ্যমে ৩ লাখ টাকার চুক্তি হয় এবং চুক্তি মোতাবেক লেনদেনও হয়।

এদিকে আটক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যে হাটহাজারি থানায় সোপর্দ করা হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর।

আবদুল্লাহ রাকীব/এমএএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।